নিজস্ব প্রতিবেদক : সমাজ পরিবর্তনের বইয়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিটি মানুষের হাতে বই তুলে দিতে হবে। তাহলেই সমাজ থেকে সব ধরনের কলুষতা দূর হয়ে যাবে বলে মনে করেন লেখক পারভিন রেজা। বুধবার বই মেলায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। উল্লেখ্য, পারভিন রেজা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের স্ত্রী।
পারভিন রেজা বলেন, আমি একজন নারী। আমি যখন খুব ছোট তখন আমার মা মারা যান। তখন নিজের কষ্ট লুকানোর জন্য আমি লেখা-লেখি শুরু করি। কিন্তু এখন আমি নিজেকে এগিয়ে নেয়ার জন্য লেখা-লেখি করি। তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষ অনেক স্বপ্ন দেখেন অনেক বিশাল। আমিও স্বপ্ন দেখি। লেখা লেখি নিয়ে আমার স্বপ্ন হলো একজন লেখক হিসেবে যতদূর গেলে স্বপ্ন পূরণ হতে পারে আমি সেই পর্যন্ত যেতে চাই। স্বয়ংসম্পর্ণ লেখক হয়ে ওঠা যায় ততদূর যেতে চাই।
পারভিন বলেন, ক্লাস ফোরে পড়ার সময় আমার মা মারা যান। আমার ছোট ছোট ভাইবোন ছিলো। আমি বড় বোন হিসেবে তাদের দেখভাল করতাম। ঐ সময় আমার মন ভালো করার জন্য আব্বা বই পড়তে বলতেন। বিভিন্ন বই কিনে দিতেন। তখন ঐ লেখকদের লেখা পড়ে আমিও লেখা লেখি শুরু করি। ক্লাস ফাইভে পড়ার সময় আমার প্রথম কবিতা প্রকাশ পায়। বিয়ের পর আমার স্বামী শ ম রেজাউল করিমের অনুপ্রেরণায় ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত হয় প্রথম কাব্যগ্রন্থ নীহারিকা।
পাঠকদের সম্পর্কে তিনি বলেন, আমার পাঠকরা অনেক আন্তরিক। কারো কাছ থেকে রুষ্ঠ আচরণ পায়নি। আমার পাঠকের সংখ্যাও কম। পাঠকরা বইকে অনেক বেশি গ্রহণ করেন। পাঠক না থাকলে কি এত বই বের হতো। পাঠকের সুদৃষ্টি রয়েছে নতুন পুরাতন লেখকদের প্রতি, লেখার প্রতি। আর পাঠকরা আছেন বলে এখনও লেখকরা প্রাণের মেলায় মিলিত হন।
তিনি বলেন, সমাজ পরিবর্তনের বইয়ের ভূমিকা প্রয়োজন। আকাশ সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে। প্রতিটি মানুষের হাতে বই তুলে দিতে হবে। তাহলেই সমাজ থেকে সব ধরনের কলুষতা দুর হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, এ পর্যন্ত পারভিন রেজার গ্রন্ধের মধ্যে রয়েছে, ৯৯ সালে নীহারিকা (কাব্যগ্রন্থ), ২০১০ সালে এবং যুদ্ধ (নাটক), ২০১১ সালে ডানা ভাঙ্গা পাখি (কাব্যগ্রন্থ), ২০১৫ সালে প্রিয়জন (গল্পগ্রন্থ), ২০১৬ সালে প্রিয় শিমুল কাব্যগ্রন্থ, ২০১৮ সালে নোনাজল কাব্যগ্রন্থ। আর এ বছর প্রকাশিত হয়েছে ডাকাতিয়া জয়+পদ্মপাতা কাব্যগ্রন্থ।
আপনার মতামত লিখুন :