শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০২:৩৫ রাত
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০২:৩৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশে প্রথম সাপের খামার করেছিলেন তোতা মিয়া,কেউ খবর রাখেনা তার পরিবারের

জাকির হোসেন: সাপুড়ে তোঁতা মিয়ার বাড়ি ছিল ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার চৌরঙ্গী বাজারে। বাংলাদেশে তিনিই প্রথম সাপের খামার করেছিলেন। বিভিন্ন ধরণের সাপের সংগ্রহ ছিল তার কাছে। প্রাকৃতিক ভাবে সাপের প্রজনন ঘটিয়ে সাপের বাচ্চা উৎপাদন করতেন। সেই সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় বেশ কয়েকবার শিরোনাম হয়েছিল তার এই সাপের খামারের খবর। খামারটি এক পলক দেখার জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক মানুষ ছুটে আসতেন। দেশের বাইরে থেকেও আসতেন অনেক পর্যটক। তার এই সাপের খামারটি হয়েছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের গবেষণার বিষয়বস্তু।

২০০৭ সালে তারই পালিত এক সাপ ছোবল দিলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষ ক্রিয়া নিষ্ক্রিয় না হওয়ায় দুদিন পর তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পরেন।

তার মৃত্যুর পর সাপ সহ কয়েক হাজার সাপের বাচ্চা মারা যায়, কিছু সাপ ঢাকা চিড়িয়াখানায় স্থানান্তরিত করা হয় ও কিছু সাপ চট্টগ্রাম ভার্সিটির প্রাণীবিদ্যা বিভাগ নিয়ে যায়। বেঁচে থাকতে সরকার তার সাপের খামার নিয়ে অনেক চিন্তা ভাবনা করতেন। তার সাপের খামারের বিষ দিয়ে জমিতে রাসায়নিক বিষ হিসেবে কাজে লাগানোর কথা জানা যায়। তবে বর্তমান কেউ খবর রাখেনা তার পরিবারের। অভাবের জ্বালা সহ করতে না পারায় দ্বিতীয় সংসার করতে বাধ্য হয় তোতা মিয়ার স্ত্রী জোসনা বেগম।

জোসনা বেগম জানান,আগে অনেক সরকারি লোকজন আমার স্বামীর খোঁজ খবর রাখতেন মারা যাওয়ার পর কেউ আমাদের খোঁজ খবর না নেওয়াতে খুব কষ্টে দিন কাটছিলো আমাদের।

এ ব্যাপারে হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম, জে আরিফ বেগ জানান, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা,তবে আমরা খবর নিয়ে কিছু একটা করার চেষ্টা করবো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়