সাজিয়া আক্তার : কক্সবাজারে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়াকে মাদক নির্মূলের সঠিক প্রয়াস হিসেবে দেখছেন না সেখানকার বিশিষ্টজনেরা। তাদের মতে আত্মসমর্পণ নয়, সীমান্ত সিল করে প্রশাসন ও স্থানীয়দের প্রয়াসেই মাদক নির্মূল করতে পারে। তবে আত্মসমর্পণকে স্বাগতও জানিয়েছেন অনেক সাধারণ মানুষ। আর টিভি
ইয়াবার বিরুদ্ধে সরকারের কঠোরতম নীতি আর সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক ক্রস ফায়ারের ঘটনার পর কক্সবাজারের ইয়াবা কারবারিরা আত্মসমর্পণের পথ বেছে নেয়। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ১০২জন ইয়াবাকারি সরকারের কাছে আত্মসমার্পণ করে।
আত্মসমর্পণের এই ঘটনাকে অনেকেই মাইল ফলক হিসেবে দেখলেও কক্সবাজারের সচেতন মহল মনে করছেন, এটি ফলপ্রসু পদক্ষেপ নয়। তাদের মতে সীমান্ত সিল করা ছাড়া মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান সফল হবে না।
আমার কক্সবাজারবাসীর সভাপতি কলিম উল্লাহ বলেছেন, এ ঘটনায় আমরা খুশি হতে পারছি না, কারণ আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা প্রসারিত হবে। তারা মনে করবে অপরাধ করেও পার পাওয়া যায়।
সামাজিক আন্দোলন ছাড়া ইয়াবা বন্ধ করা সম্ভব নয় বলে মানছেন কক্সবাজারের পুলিশ কর্মকর্তাও।
তবে কক্সবাজারের সাধারণ মানুষ বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন। যদিও বাকি প্রভাবশালী ইয়াবা কারবারিদের ক্ষেত্রে কী হবে তা নিয়ে আছে নানান প্রশ্ন।
লোক দেখানো আয়োজন না করে রাষ্ট্র ও সরকার ইয়াবা নির্মূলে আন্তরিক হবে এমন প্রত্যাশা কক্সবাজারবাসির।
আপনার মতামত লিখুন :