নূর মাজিদ : সামুদ্রিক স¤পদ আহরণের মাধ্যমে প্রতিবছর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ৬২০ কোটি ডলার যুক্ত করছে। তবে এই খাত থেকে আরো বেশি অর্থ আয়ের সুযোগ রয়েছে। গত মঙ্গলবার দেশের সামুদ্রিক অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা এমন অভিমত ব্যক্ত করেন। দ্য স্টার, ঢাকা ট্রিবিউন
এই বিষয়ে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা- ইউএন ফাও এর মৎসস¤পদ বিশেষজ্ঞ জ্যাকুলিন এল্ডার বলেন, গভীর সমুদ্রভিত্তিক বা ব্লু-ওয়াটার অর্থনীতিতে যুক্ত হলে বাংলাদেশের সামনে অনেক সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে। বিশেষ করে, মৎসস¤পদ আহরণ পরবর্তী প্রক্রিয়াজাতকরণে অনেক শিল্প গড়ে উঠবে। যা নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়ক হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর প্যান-পাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে মৎস এবং পশুস¤পদ মন্ত্রণালয় এবং ইএন ফাও আয়োজিত দুইদিন ব্যাপী আলোচনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এমন কথা বলেন। এই সেমিনার অধিবেশনে দেশের গভীরসমুদ্রভিত্তিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলবে।
গভীর সমুদ্রের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নৌ-বিষয়ক সচিব খুরশিদ আলম বলেন, বঙ্গোপসাগরের প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার জুড়ে মৎস স¤পদ আহরণ এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক ও খনিজ স¤পদ অনুসন্ধান ও উত্তোলনের অধিকার বাংলাদেশের রয়েছে। তিনি জানান, কয়েক বছর আগেই আন্তর্জাতিক আদালতে এই বিষয়টির মীমাংসা হলেও এখনও বাংলাদেশ এর সুযোগ নিতে পারেনি। বিশেষ করে, বাংলাদেশের সামনে গভীর সাগরে বিপুল পরিমাণ টুনা মাছ আহরণের সুযোগ রয়েছে । এছাড়াও, সমুদ্রের প্রাকৃতিক পরিবেশে খাঁচায় মাছ চাষ করেও বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করা সম্ভব। তিনি এই সকল সুযোগ নিতে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারিদের এগিয়ে আসার আহব্বানও জানিয়েছেন ।
আপনার মতামত লিখুন :