মঈন মোশাররফ : প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎও জ্বালনী বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন,বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে নির্মীয়মান রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে আগামী তিন বছরের মধ্যেই উৎপাদন শুরু হবে। আর বছর তিনেকের ভেতরেই রামপাল প্রকল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে দেওয়া যাবে। মানে ওই সময়সীমার মধ্যে রামপালের বিদ্যুৎ গ্রিডে চলে আসবে। রামপালে পরিবেশগত আশংকার দিকটি নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার বিবিসি বাংলাকে তিনি আরো বলেন, আমরা রামপালে যে ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করছি এবং যেসব দূষণবিরোধী পদক্ষেপ বা মিটিগেটিং মেজারস নিচ্ছি তাতে সুন্দরবনের বা পরিবেশের কোনও বড় ঝুঁকি আর নেই। রামপালে অনেক খরচ করে বাংলাদেশ এখানে যে আলট্রা-সুপার ক্রিটিকাল প্রযুক্তির প্রয়োগ করছে, তাতে জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেসকো পর্যন্ত সন্তষ্ট।
তিনি বলেন, তারা এখন যে ধরনের প্রযুক্তি রামপালে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে কয়লা সুন্দরবনের কোনও ক্ষতি করবে না। কয়লা নিয়ে আশঙ্কার প্রধান কারণটা হল বাতাসে তারা সালফার অক্সাইড ও নাইট্রোজেন অক্সাইড - যাদের সংক্ষেপে ‘সক্স নক্স’ বলা হয়ে থাকে - তার নির্গমন ঘটায়। এগুলো থেকে আবার অ্যাসিড রেইন-ও হয়।
তিনি জানান, কিন্তু আমরা রামপালে আলট্রা সুপার-ক্রিটিকাল বা বিশেষ ধরনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর ফলে এই সালফার বা নাইট্রাইস পার্টিকলগুলোকে ট্র্যাপ করে ফেলা সম্ভব - অর্থাৎ বাতাসে সেগুলো বেরোতেই পারবে না। এতে আমাদের অনেক বাড়তি খরচ হচ্ছে ঠিকই, প্রকল্পের ব্যয়ও হয়তো কিছুটা বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই সব আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে রামপালে বলা যেতে পারে একেবারে ‘ক্লিন কোল’ টেকনোলজি বা প্রায় সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত কয়লার ব্যবহার হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :