শিরোনাম
◈ অবশেষে মার্কিন সিনেটে সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ পাস ◈ কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল চলাচল বন্ধ ◈ ইউক্রেনকে এবার ব্রিটেননের ৬১৭ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ◈ থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ জিবুতি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে ৩৩ জনের মৃত্যু ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ এফডিসিতে মারামারির ঘটনায় ডিপজল-মিশার দুঃখ প্রকাশ ◈ প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ◈ প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাত চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন নির্বাচিত ◈ বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৭:৫৬ সকাল
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৭:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতের নাগরিকত্ব বিল কি নির্বাচনী স্টান্টবাজি, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

আনন্দ মোস্তফা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব বিলের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ভারতে নাগরিকত্ব বিল কি নির্বাচনী স্টান্টবাজি? মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবু ধাবিতে গালফ নিউজকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী ভারতের নাগরিকত্ব বিলের (সংশোধিত) উদ্দেশ্য কী তা বুঝতে পারেন নাই বলেও জানান।
উল্লেখ্য, ভারতের সংসদের নিম্নকক্ষে এই আলোচিত বিলটি পাস হয় যা এখনো উচ্চকক্ষের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। এ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন এই বিল, আমি বুঝতে পারি না। এটা কি নির্বাচনী উদ্দেশ্যে?
নাগরিকত্ব বিলের ফলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মতো ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আগত ধর্মীয় সংখ্যালঘু অভিবাসীরা দেশটির নাগরিকত্ব পাবে। তবে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের কারণে এই বিল আনা হয়েছে বলে কখনোই মনে করেন না শেখ হাসিনা। তিনি এ বিষয়ে বলেন, 'আমি তেমনটা মনে করি না। বাংলাদেশে এমন কোনো ঘটনা (ধর্মীয় নির্যাতন) নেই। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তবে আমরা সে বিষয়ে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এটা শুধু বাংলাদেশেই আছে এমন নয়।' তিনি মনে করেন এই বিলটি নিয়ে ভারতের মানুষজনও খুশি নন। ‘আমি মনে করি তাদের (ভারতের) এমন কিছু করা উচিত হবে না, যা উত্তেজনা সৃষ্টি করে’।
শেখ হাসিনা বলেন, আসাম ও ভারতের অন্যান্য স্থানে (বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো) বোমা হামলার মতো ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী, যারা বাংলাদেশে বসে অপারেশন চালাতো, তাদের বিরুদ্ধে তার সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেয়ায় এধরণের বোমা হামলার ঘটনা বন্ধ হয়েছে। একটি প্রতিবেশী দেশ হিসেবে এসব বিষয় তাদের বিবেচনা করা উচিত।
তিনি আরো বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বিশাল জনসংখ্যা ও দারিদ্র্য একটি ভয়াবহ সমস্যা। 'আমি প্রতিবেশীদের বলেছি যে, আমাদের একটি অভিন্ন শত্রু আছে। তা হলো দারিদ্র্য। এর বিরুদ্ধে আমাদেরকে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে।'
দেশের বুদ্ধিজীবী ও অধিকারকর্মীদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ব্লগার ও অনলাইন অধিকারকর্মীদের হত্যাকাণ্ড দৃশ্যত একটি নতুন প্রবণতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। জনগণ ও সরকার দ্ব্যার্থহীনকণ্ঠে এসব হামলার নিন্দা জানিয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে তাত্ক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব বিষয়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয় সেসব বিষয় নজরদারিতে রাখতে তৈরী করা হয়েছে স্পেশাল টাস্কফোর্স। প্রয়োজন অনুযায়ী তারা আইনগত ব্যবস্থা নেয়।
এছাড়াও কাউকে হুমকি দেয়া হলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে থানাগুলোকে। তিনি বলেন, '২০১৬ সাল থেকে কোনো ব্লগার অথবা অনলাইন অধিকারকর্মী নিহত হননি। এটা তার সরকারের কার্যকারিতার প্রকাশ।'
সবশেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে কোনো সমস্যা সৃষ্টি করতে অথবা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে দেবো না কাউকে। কারণ, এতে আমার নিজের দেশের শান্তি নষ্ট হয়। আমাদের পরিষ্কার ঘোষণা হলো, যেকোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের 'জিরো টলারেন্স'। যদি শান্তি বজায় থাকে তাহলে আপনি অতি দ্রুত উন্নতি করতে পারবেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়