অনিন্দিতা রায়
এবারের বইমেলায় আমার দিদির লেখা পঞ্চম উপন্যাস ‘পারমিতার চিঠি’ প্রকাশিত হয়েছে। আমার দিদি রিতা রায় মিঠু আদ্যোপান্ত একজন বিজ্ঞান শাখার ছাত্রী ছিলেন, রসায়নে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। অনেকেরই ধারণা হয়তো যে শুধুমাত্র লিটারেচারের ছাত্রছাত্রীদের লেখালেখি করার হাত তুখোড় হয়, আমিও কিছুটা তাই ভাবতাম কিন্তু এখন মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি যে এটা একেবারেই ঈশ্বর প্রদত্ত একটি গুণ, হ্যাঁ অনেক বেশি বই পড়লে বা সাহিত্যের চর্চা করলে ভাষা অনেক উন্নত হয় তবে গল্পের যে প্লট বা চিন্তার যে গভীরতা, মনের আবেগকে সুন্দর করে গল্পের আকারে ফুটিয়ে তোলা এটা একান্তই একটা সৃজনশীলতা। ‘পারমিতার চিঠি’র লেখককে কোনোকালেই খাতা-কলম নিয়ে লিখতে বসতে দেখিনি, তবে প্রচুর বই পড়তে দেখেছি। এই মানুষটিই যখন প্রথম উপন্যাস লিখলো ঠাকুর বাড়ির আঁতুড়ঘরে, আমি একেবারেই অবাক হয়ে গেলাম। কারণ তার লেখার শব্দ চয়ন এতোটাই সহজ, সরল, প্রাঞ্জল ছিলো যে আমার এক মুহূর্তে মনে হয়েছিলো এটা কোনো বাংলা সাহিত্যের ছাত্রী লিখেছে আবার পর মুহূর্তেই মনে পড়লো আরে এর জন্য তো সাহিত্যে পড়ালেখা করার দরকার নেই, এটা তো আসলেই ঈশ্বর প্রদত্ত গুণ। কারণ আমি অনেক বাংলা সাহিত্যের ছাত্রীকেও দেখেছি গুছিয়ে সুন্দর করে দুইটা কথা লিখতে পারে না। আসলে এই যান্ত্রিক জীবনে সবাই তো হাঁপিয়ে উঠি আমরা সংসার, চাকরি, বাচ্চাকাচ্চার জাঁতাকলে... সবাই একটু রিলাক্স করার রাস্তা খুঁজে বেড়াই, গল্পের বই কিন্তু আপনাকে সেই রিলাক্সের রাস্তাটাই দেখিয়ে দেয় সুন্দর করে, তাই যারা বই পড়তে ভালোবাসেন তারা এই বইটি পড়ে দেখবেন, হতাশ হবেন না, তার গ্যারান্টি আমার। আর যারা বই খুব একটা পড়েন না গুরুগম্ভীর কথার ভয়ে তারা এই বইটি পড়ে দেখবেন প্লিজ,পড়লে বুঝবেন কতো সহজ ভাষায় সুন্দর করে মনের আবেগকে ফুটিয়ে তোলা যায়, যতোক্ষণ বইটি পড়বেন খুব সুন্দর সময় কাটাবেন এটা আমি হলফ করে বলতে পারি। পারমিতার চিঠি পাওয়া যাচ্ছে বইমেলার ৫৯৭, সিঁড়ি প্রকাশনের স্টলে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :