নির্মলেন্দু গুণ : আমরা (আমি ও কবি আবুল হাসান) কোনো ডিগ্রি অর্জন ছাড়াই ঢাকা বিবি-লয়ের পড়াশোনার পাট চুকিয়ে দিয়ে যখন এলপিআরে চলে গিয়েছিলাম, তখন রাজশাহী থেকে এমএ পাস করে কবি মহাদেব সাহা এবং মাদারীপুর থেকে বিএ পাস করে কবি অসীম সাহা ঢাকায় আসেন। মহাদেব সাহা দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন এবং অসীম সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএ ক্লাসে ভর্তি হন।
বয়সে তিন-চার বছরের ছোট হলেও, অসীম আমার কাছে অনুজবৎ এবং বন্ধুবৎ হয়ে ওঠে।
ইতিমধ্যে চলতি বছরে অসীম যখন তাঁর ৭১তম জন্মদিন পালন করছে, তখন আমাদের সম্পর্কের অর্ধশতক পূর্ণ হয়েছে।
আমি কবি অসীম সাহাকে তাঁর জন্মদিনে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
অসীম সাহাকে আমি একজন গুরুত্বপূর্ণ কবি বলে মনে করি।
তাছাড়া অসীম যে দুটো গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে আমি মনে করি, সেই দুটো হলো :
১। আধুনিক বাংলাভাষায় ১৪ শতকের কবি বড়ু চ-ীদাসের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যগ্রন্থের বিনির্মাণ। এবং
২। আধুনিক ব্যবহারিক সহজ বাংলা অভিধান সম্পাদনা।
কবিতার পাশাপাশি এই দুটো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার জন্য কবি অসীম সাহা বাংলা সাহিত্যে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
শুভ জন্মদিন অসীম।
?
নয়াগাঁও
১৯. ০২. ২০১৯
আপনার মতামত লিখুন :