শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৭:০৬ সকাল
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৭:০৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর তৎপরতা নেই

ডেস্ক রিপোর্ট : সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো নিয়ে সরকারের কোনো তৎপরতা নেই। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এনিয়ে কোনো ধরনের কাজও করছে না। তাই মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রস্তাবটি উঠানোর বিষয়টি গুজব ছাড়া কিছুই নয়। যদিও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে ইতিবাচক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন মানবজমিনকে বলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে আমরা কোনো কাজ করছি না। আগামীতে কোনো কাজ করলে প্রথমে গণমাধ্যমকেই জানাবো। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শেষদিকে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২৯তম সভায় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার সুপারিশ করে।

এরপর ওই প্রস্তাবনার খসড়াটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যায়। তবে ওই প্রস্তাবটি আলোর মুখ দেখেনি। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সাধারণ বয়স ৩০ বছর। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ বছর। আর অবসরের বয়স ৫৯ বছর। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালের আগে দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ছিল ২৭ বছর। ১৯৯১ সালের জুলাই মাসে সেটা বাড়িয়ে করা হয় ৩০ বছর। এরপর ২০১১ সালের ডিসেম্বরে সরকারি চাকরিতে সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়স এক বছর বাড়িয়ে ৬০ বছর করা হয়। অবসরের বয়স বাড়ানোর কারণে সরকারি চাকরিতে শূন্য পদের সংখ্যা কমে যায়। ফলে চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি পাওয়ার পথ সংকুচিত হয়। পাশাপাশি একদিকে চাকরিতে তীব্র প্রতিযোগিতা, আরেক দিকে শিক্ষাজীবন শেষ করে চাকরি পেতেও অনেকের দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এ জন্য অবসরের বয়স বাড়ানোর পর থেকেই চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনে নামেন একদল শিক্ষার্থী।

তারা মানববন্ধন, অনশনসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করে আসছেন। দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই দাবি আরো জোরালো হয়। জাতীয় সংসদেও বিষয়টি আলোচনা হয়। কিন্তু সরকার তাতে সাড়া দিচ্ছিল না। এর মধ্যে গত জুনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২৯তম সভায় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার সুপারিশ করা হয়। এর আগে কমিটির ২১তম সভায় ৩২ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছিল। এসব সুপারিশ বাড়ানোর বিষয়ে আপাতত কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে কোনো নির্দেশনা পেলে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি মন্ত্রিসভায় উঠানো হবে। আপাতত বিষয়টি ফাইল ওয়ার্কে সীমাবদ্ধ আছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়