শিরোনাম
◈ অবশেষে মার্কিন সিনেটে সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ পাস ◈ কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল চলাচল বন্ধ ◈ ইউক্রেনকে এবার ব্রিটেননের ৬১৭ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ◈ থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ জিবুতি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে ৩৩ জনের মৃত্যু ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ এফডিসিতে মারামারির ঘটনায় ডিপজল-মিশার দুঃখ প্রকাশ ◈ প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ◈ প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাত চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন নির্বাচিত ◈ বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:৩৮ সকাল
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:৩৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যশোরে ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে, বেড়েছে হয়রানি,চাঁদাবাজি ও দুর্ব্যবহার

জাহিদুল কবীর মিল্টন: যশোরে ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। বেড়েছে ট্রাফিক হয়রানি চাঁদাবাজি ওদুর্ব্যবহার। শহরের ব্যস্ততম সড়কের প্রবেশ মুখে লেগেই থাকে জানজট। অবৈধ ইজিবাইক,ব্যাটারি চালিত রিকশা ও নসিমন করিমনে ভরে গেছে শহর। রাতে নিদিষ্ট সময়রে আগে শহরে প্রবেশ করছে ভারি যানবাহন। এসব অবৈধ কর্মকান্ড দেখার কেউ নেই।

ট্রাফিক অফিস সূত্রে জানা যায় ,যশোর ট্রাফিকে বর্তমানে লোকসংখ্যা রয়েছে প্রায় ৭২ জন। এর মধ্যে পরিদর্শক ৫ জন, সার্জেন্ট ৬ জন, টিএসআই ৫ জন, এটিএসআই ৩ জন ও কনসটেবল ৫৩ জন। এতো লোকবল থাকার পরও যশোর শহরে যানজট লেগেই থাকে। শহরের ব্যস্ততম সড়ক ও সড়কের প্রবেশ মুখে বিশেষ করে শহরের বটতলাস্থ সেন্ট্রাল রোডের প্রবেশ মুখে,জেনারেল হাসপাতালের সামনে, চিত্রা মোড়, মুজিব সড়কের প্রবেশ মুখে, সিভিল কোর্ট মোড়ে, শহরের চৌরাস্তা মোড়ে কোতয়ালি মডেল থানার সামনে, শহরের মনিহার এলাকায় যত্রতত্র ভাবে রাস্তার উপর বেআইনি ভাবে ইজিবাইক দাড়িয়ে থাকে। এসব অবৈধ ইজি বাইকের কারণে প্রতিনিয়তই শহরে যানজট লেগে থাকছে। আর এদের কারণে ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা । বিশেষ করে জেনারেল হাসপাতালের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ন স্থান। মূমুর্ষ রোগীদের এ পথ দিয়ে হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু রাস্তার উপর অবৈধ ইজি বাইকের বেআইন অবস্থানের কারণে রোগী হাসপাতালে নেয়াতো দূরের কথা এ রাস্তা দিয়ে চলাচলই দায় হয়ে পড়েছে। আর এসব কিছুই ঘটছে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সামনে। অথচ তারা দেখেও না দেখার ভান করে দাঁড়িয়ে থাকে।

অভিযোগ রয়েছে শহরে চলাচলকারি অবৈধ ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিকশা, নসিমন, করিমনের চালকদের কাছ থেকে কর্তব্যরত ট্রফিক পুলিশ টোল আদায়ে ব্যস্ত থাকে। যে তারা কারনে যানজট নিরসনের সময় পান না।

ট্রাফিক সার্জেন্টরা থাকেন বছরে মামলার টার্গেট পূরনে ব্যস্ত। শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে মোটর সাইকেলের কাগজপত্র পরিক্ষা নিরীক্ষার নামে প্রতিনিয়তই মোটর সাইকেল চালকদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। গত সোমবার রাতে শহরের দড়াটানা ট্রফিক বক্সের সামনে মোটর সাইকেলের ৭৩ টি মামলা হয়েছে। আর মোটর সাইকেল আটক হয়েছে ৭ টি। মোটর সাইকেলের কাগজপত্র ঠিক থাকলেও ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য, ওভার লোডিং বা ভিন্ন ধারায় মামলা দেয়া হয়। বাংলায় প্রবাদ আছে আকাশে যত তারা পুলিশের তত ধারা। এক কথায় ধারার কোন শেষ নেই। এসব মামলা নিয়ে ট্রাফিক অফিসে গেলে দায়িত্ব প্রাপ্তদের দুর্ব্যবহারের স্বীকার হতে হয় মোটর সাইকেল চালকদের। জরিমানার টাকা ট্রাফিক অফিসে জমা দিতে হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলা গুলোতে যেমন নড়াইল, মাগুরা, ঝিনাইদহ, মেহরেপুর,ও কুষ্টিয়ায় যানবাহন বা মোটর সাইকেলের মামলার জরিমানার টাকা চালানের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা দেয়া হয়। অথচ যশোর জেলায় এরকম কোন নিয়ম মানা হয় না। মামলার জরিমানার টাকা ট্রাফিক অফিসে জমা দিতে হয়। অথচ জরিমানার টাকা জমা দেয়ার কোন রশিদ বা চালানের কপি যানবাহন মালিক বা চালকদেরকে দেয়া হয় না।

এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এ এসপি মর্যাদার একজন অফিসার জানান, জরিমানার টাকা জমা দেয়ার রশিদ জমাদান কারিকে দেয়ার নিয়ম রয়েছে। যদি কেউ না দেয় সেটার ভিতর অবশ্যই অনিয়ম বা ঘাপলা আছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়