আসাদুজ্জামান সম্রাট : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) সংসদে বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সিআইডির অধিকতর তদন্ত কাজ এখনও চলমান। মূলত এই তদন্তের কার্যক্রমে যেন কোনো প্রভাব পড়তে না পারে সেইজন্যই বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. ফরাসউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এখনও প্রকাশ করা হয়নি। মঙ্গলবার সংসদে কার্যপ্রণালী বিধির ৩০০ বিধিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সঠিক সময়ের মধ্যেই জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে আমাদের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। চুরি হওয়া ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে ইতোমধ্যে শ্রীলংকা থেকে ২০ ও ফিলিপাইন থেকে ১৪.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আমরা ফেরৎ আনতে সক্ষম হয়েছি। বাকি অর্থ ফেরৎ আনার কার্যক্রম চলমান। এক্ষেত্রে যখনই যেই অগ্রগতি হবে সময়ে-সময়ে তা সংসদকে অবহিত করবেন বলে জানান তিনি।
লোটাস কামাল বলেন, দেশের আর্থিক ও ব্যাংক খাত ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ব্যাংক ফেডারেল ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রিজার্ভ সংরক্ষিত রাখে। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ৭০টি ভুয়া পেমেন্ট ইনষ্ট্রাকশন ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক অপরাধচক্র হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সেই রিজার্ভ থেকে ৯৫১ কোটি মার্কিন ডলার পাচারের চেষ্টা করে। এরমধ্যে ৫টি ফলস ইনষ্ট্রাকশনের ভিত্তিতে ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচারের পর সন্দেহ হওয়ায় ফেডারেল ব্যাংক তা বন্ধ করতে সক্ষম হয়, যার ফলে বাকি ইনষ্ট্রাকশনগুলো আর কাজ করেনি।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, বিষয়টি নজরে আসার পর সরকার এরসঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে এবং ভবিষ্যতে চুরি বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করে। শ্রীলংকা ও ফিলিপাইনও আন্তর্জাতিক এই অপরাধ চক্রসহ জড়িত সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে।
আপনার মতামত লিখুন :