লালমনিরহাট প্রতিনিধি: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা ফিরে পেতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সতন্ত্র প্রার্থী ওয়াজেদুল ইসলাম শাহিনের করা আপিলের শুনানিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানিকালে মামলার নথি উপস্থাপন করতে না পারায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
জানা গেছে, ওয়াজেদুল ইসলাম শাহীন পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। আগামী ১০ মার্চ এ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আজ প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন শাহীন। কিন্তু আবেদনপত্রে ভোটারদের স্বাক্ষর সংক্রান্ত জটিলতার কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
পরে জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করেন তিনি। সেখানেও তার আপিল বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম। পরে ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টে আপিল করেন শাহীন।
গতকাল সোমবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য তালিকায় আসে। কিন্তু মামলার নম্বর ভুল হওয়ায় ওই দিন শুনানি হয়নি।
আজ মঙ্গলবার যথারীতি কার্য তালিকায় মামলাটি ১৫ নম্বর আইটেম হিসেবে রাখা হয়। কিন্তু শুনানির সময় মামলার ফাইল উপস্থাপন করতে না পারায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পর অসন্তোষ প্রকাশ করেন আদালত। আদালত এ সময় সেকশন কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক ও রাশেদকে ডেকে এনে দুপুর ২টার মধ্যে মামলার ফাইল উপস্থাপন করার জন্য নির্দেশ দেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহীনের আইনজীবী মাজেদুল ইসলাম পাটোয়ারী জানান, আদালত ওই কর্মকর্তাদের প্রতি অসেন্তাষ প্রকাশ করে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন।
শাহীনের অভিযোগ, তার প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী রুহুল আমিন বাবুল মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তার মামলার ফাইল গায়েব করিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :