জাবের হোসেন: শুকনো মৌসুমেও লালমনিরহাটে ধরলা নদীতে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এত চলতি মৌসুমে চওরাটারি, দিঘলটারী, কর্ণপূর ও কুরুল গ্রামের প্রায় ২০০ বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। প্রতিনিয়ত বিলীন হচ্ছে ফসলী জমি। নদী তীরের মানুষের শেষ সম্বল রক্ষায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। সিসি বøক ও বালুর বস্তা ফেলার পাশাপাশি বরাদ্দ পেলে টেকসই বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। সময় টিভি
এলাকাবাসী বলেন, ধরলার ওপারে ভারতের কুচবিহার জেলার গিতালদহ অঞ্চলের ঝারিধল্লা, ঘোষপাড়া ও দরিবস গ্রামে রক্ষায় বাঁধ দেয়ায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে বাংলাদেশ অংশে ভাঙনের সূত্র পাত হয়। এতে চরম আতঙ্কে আছেন তারা। তারা আরো বলেন, অনেক ঘর বাড়ি নদীতে ভেঙে গেছে। আমরা ভাঙনের কারনে অসহায় হয়ে পড়েছি।
নদী তীরের অসহায় মানুষের দুর্দশা লাঘবে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার জনপ্রতিনিধি। মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান হাবীব বলেন, চওরাটারি নামের একটি গ্রামে বেশ ভাঙন হচ্ছে। এই ভাঙন রোধে কাজ করা না গেলে মোগলার বাজার এবং আগে যে কাজগুলো করা হয়েছে সেগুলোও নষ্ট হয়ে যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নিবাহী প্রকৌশলী মো.আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, করুল এলাকায় ছয়শ মিটার কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। বাকি জায়গায়র কাজ বাস্তবায়ন করার জন্য প্রকল্প প্রস্তুত করছি। এই প্রকল্প অনুমোদিত হলে আমরা কাজ করতে পারবো।
আপনার মতামত লিখুন :