রুহুল আমিন : দেশের প্রতিটি মোবাইল অপারেটরই সেবাদানের ক্ষেত্রে কোনো না কোনো দিক থেকে অনেক পিছিয়ে। এমনটাই উঠে এসেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) পরিচালিত এক জরিপে।চ্যানেল আই
২০১৮ সালের ঢাকায় পরিচালিত ‘মোবাইল অপারেটরস কোয়ালিটি অব সার্ভিসেস (কিউওএস) ড্রাইভ টেস্ট’ নামক ওই জরিপে দেখা গেছে গ্রামীণ ফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটক অপারেটরই সেবার মানের দিক দিয়ে পিছিয়ে আছে। জরিপের অধীনে মোট ১৩৫০ কিলোমিটার এলাকায় পরীক্ষাটি চালানো হয়। প্রকাশিত ফলাফলে বিটিআরসি জানিয়েছে, চারটি অপারেটরের মধ্যে কল ড্রপের হার সবচেয়ে বেশি গ্রামীণ ফোনের (৩.৩৮ শতাংশ)। অন্যান্য অপারেটরগুলোর কল ড্রপ বিটিআরসি নির্ধারিত সীমার (২ শতাংশ) নিচে রয়েছে।
কল সংযোগে সময়ও লাগে গ্রামীনফোনেই সবচেয়ে বেশি (১০.১৪ সেকেন্ড)। এরপর রয়েছে বাংলালিংক (৭.৬৯ সেকেন্ড) এবং টেলিটক (৭.১১ সেকেন্ড)। শুধু রবিই ৬.১৫ সেকেন্ড নিয়ে বিটিআরসির সর্বোচ্চ কল সংযোগ সময়সীমায় (৭ সেকেন্ড) পাস করেছে। মোবাইল ডাটার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও জটিল। তৃতীয় প্রজন্ম বা থ্রিজি ইন্টারনেট সেবায় বিটিআরসি নির্ধারিত সর্বনিম্ন ডাউনলোড গতিসীমা ২ এমবিপিএস। এক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে শুধু টেলিটক (১.৬৩ এমবিপিএস)। এখানে বাংলালিংকের ডাউনলোড স্পিড সবচেয়ে বেশি (৩.৩৮ এমবিপিএস)। তবে আপলোডের স্পিডের পরীক্ষায় উতরে গেছে সবাই। কিন্তু চতুর্থ প্রজন্ম বা ফোরজি ইন্টারনেট সেবায় সবার গতিই নির্ধারিত মানের হিসেবে ব্যর্থ।
এক্ষেত্রে বিটিআরসি ডাউনলোডের সর্বনিম্ন গতি ৭ এমবিপিএস ধরলেও গ্রামীনফোনের আছে ৫.৮৮ এমবিপিএস, রবির ৫.৯১ এমবিপিএস এবং বাংলালিংকের ৫.১৮ এমবিপিএস। আপলোডের গতিসীমা সবারই সন্তোষজনক। জরিপকালে টেলিটকের ফোরজি সেবা ছিল না।রাজধানীর বাইরেও একই ধরনের ড্রাইভ টেস্ট চলছে জানিয়েছে বিটিআরসি। বিটিআরসি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজধানীর বাইরের জরিপের ফলও দ্রুত প্রকাশ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :