শিমুল মাহমুদ: সড়কে শৃঙ্খলার নামে জাতির সঙ্গে তামাশা করা হচ্ছে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। রিজভী বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার নামে সড়ক পরিবহন ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ জাতীয় কমিটিতে সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানকে আহবায়ক করে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তা রীতিমতো হাস্যকর।
তিনি বলেন, এই শ্রমিক নেতার ( শাজাহান খান) কারণেই সড়কে যতো প্রাণহানি ও বিশৃঙ্খলা ঘটেছে। যখনই সড়কের অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলা নিয়ে আন্দোলন হয়েছে তখনই এই শাজাহান খানরা’ই বাধার সৃষ্টি করেছে। মূলত: সড়কে দূর্ঘটনা ও প্রাণহানির জন্য এই নেতাই অনেকাংশে দায়ী। কাজেই তাকে আহ্বায়ক করে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার নামে যে কমিটি গঠিত হয়েছে তা জাতির সঙ্গে তামাশা মাত্র।
বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, সড়কে বিশৃঙ্খলা এবং মর্মান্তিক দূর্ঘটনার কত যে পূণরাবৃত্তি হবে তা বলাই বাহুল্য। জনগণের নিকট যখন জবাবদিহিতা থাকে না তখন জনদূর্ভোগ সষ্টিকারীরাই সর্বত্রই বেআইনি কর্তৃত্ব করে। তাদের দ্বারা জনগণ ক্রমাগত প্রতারিত হতে থাকে। মিড নাইট নির্বাচনের পর এটি জনগণের সাথে আরেকটি শ্রেষ্ঠ প্রহসন।
নতুন তিনটি ব্যাংকের অনুমোদনের বিষয়ে রিজভী বলেন, সবচেয়ে হাস্যকর বিষয় হলো- স্বয়ং অর্থমন্ত্রী বলেছেন তিনি এই তিনটি ব্যাংক অনুমোদনের বিষয়টি জানেন না। ব্যাংক লুটের কারণে দেশের ব্যাংকগুলোর যখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা তখন আবারও নতুন করে তিনটি ব্যাংকের অনুমোদন ব্যাংক লুটের পথকে আরও প্রসারিত করলো। বর্তমানে অনুমোদনকৃত তিনটি ব্যাংকসহ দেশের অধিকাংশ ব্যাংকের মালিকানায় রয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা কিংবা তাদের স্বজনরা। যখন পূর্বের ঢালাওভাবে অনুমোদিত ব্যাংকগুলো ধ্বসে পড়েছে তখন আবারও তিনটি ব্যাংকের অনুমোদনে এটি সুষ্পষ্ট যে, জনগণের সর্বশেষ সঞ্চয়টুকু শোষণ করতেই মিড নাইট সরকারের খয়ের খাঁ-দের নতুন তিনটি ব্যাংক দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
বিকল্প কোন ব্যবস্থা না করে ঢাকা মহানগরীতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ঘোষনা নিষ্ঠুর কর্তৃত্ববাদী শাসনেরই প্রতিফলন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী বলেন, নাৎসী দুঃশাসনের তামসীক প্রভাব খাটিয়ে আকস্মিকভাবে প্রায়দিনই গ্যাস সরবরাহ বন্ধের ঘোষনা ঢাকাবাসীকে মহা দূর্ভোগের মধ্যে ফেলেছে। নিত্যদিনের এই ঘটনায় জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ঢাকা মহানগরীতে চুলা জ্বালানোর অন্য কোন উপায় নেই, সরকার এদিকে দৃষ্টি না দিয়ে ফাঁপা উন্নয়নের ছবি দেখানোর জন্য জনগণের জীবন-যাপনের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর সরবরাহকেও বাধা দিতে কুন্ঠিত হচ্ছে না। একব্যক্তির হুকুমের শাসন জারি আছে বলেই জনগণের চাহিদাগুলোকে পদদলিত করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :