শিরোনাম
◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০২:৫০ রাত
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০২:৫০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্বামীর বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এক গৃহবধূ

ইসমাঈল ইমু : প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে। পরে জানাজানি হলে প্রথম স্ত্রীকে তালাক পাঠিয়ে উল্টো যৌতুক দাবি। আর শিশু সন্তান নিয়ে অসহায় গৃহিনী এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বিচারের আশায়। ঘটনাটি ব্রাহ্মনবাড়িয়ার সদর থানা এলাকার।

জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১০ এপ্রিল ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর থানা এলাকার হামিদুর রহমানের ছেলে আশিকুর রহমানের সঙ্গে নাসিরনগরের মনসুর আলীর মেয়ে মাসুকার সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। প্রথমাবস্থায় বালই চলছির তাদের সংসার। বিয়ের কিছুদিন পর তাদের একটি পুত্র সন্তানও হয়। কিন্তু সম্প্রতি আশিক জড়িয়ে পড়েন আপেল নামের এক মেয়ের প্রেমে। প্রথম স্ত্রী মাসুকাকে না জানিয়ে গতবছর এপ্রিলে বিয়েও করেন তাকে।

এদিকে মাসুকা তার একমাত্র সন্তান নিয়ে টানাটানির সংসার না চলায় স্বামীর কাছে হাত পাতেন। এতে হিতে বিপরীত হয়ে ওঠেন আশিক। তিনি মাসুকাকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন। এ বিষয়ে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নাসিরগর খানায় থানায় জিডিও (জিডি নং-৭৩০, তাং ১৯/১২/২০১৮ ইং) করেন মাসুকা। এছাড়া পারিবারিকভাবে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি। বর্তমানে শিশু সন্তানকে নিয়ে রাজধানীতে তার এক স্বজনের বাসায় উঠেছেন। তাদের মাধ্যমেই চলছে সংসার। কিন্তু এভাবে কতদিন চলবে তা নিয়ে শংকিত মাসুকা।

তিনি জানান, আশিক প্রথমে ভালভাবেই সংসার চালিয়েছে। আপেল নামের ওই মেয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার পর থেকেই কেমন যেন হয়ে যায়। সন্তানকে সে দেখাশোনা তো দুরের কথা কোন খরচও দেয়না। এমনকি ঈদের সময়ও সন্তানকে কোন জামা কাপড়ও দেয়নি। স্বামী হিসেবে কোন দায়িত্ব পালন করছেনা সে। দ্বিতীয় বিয়ের খবর তার কাছে জানতে চাইলে উল্টো তাকে নানা হুমকি দিতে থাকে আশিক। পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদষ্যদেরও মেরে ফেরার হুমকি দেয় সে। এছাড়া একটি তালাকনামাও পাঠায়। দেনমোহারের টাকাও দিতে অপারগতা প্রকাশ করে আশিক জানায়, মাসুকার সঙ্গে তার ৫/৬ মাস আগে বিয়ে হয়েছে। অথচ তাদের সন্তানের বয় ৬ বছর।

মাসুকা অভিযোগ করেন, সম্প্রতি তাকে দ্বিতীয় স্ত্রী আপেলকে ডিভোর্স দিয়েছে বলে একটি তালাকনামা পাঠায়। কিন্তু ওই কাগজটি জাল বলে জানান মাসুকা। তিনি বলেন, ওই তালাকনামায় স্বাক্ষী করা হয়েছে আশিকের দ্বিতীয় স্ত্রীর স্বজন ইউনুছ ও সাগর। আর মাসুকাকে যে তালাকনামা পাঠানো হয়েছে সেখানে স্বাক্ষী আপেলের বাবা শাজাহান ও ভাই মুন্নাকে। যা খুবই হাস্যকর। আশিকের এহেন কর্মকান্ডের বিষয়ে তদন্ত করে তাকে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতে সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মাসুকা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়