আরএইচ রফিক: বগুড়ার শেরপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু, বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী জানে আলম খোকা ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আব্দুন নুর মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে শাহ জামাল সিরাজী ও বাসুদেব রায়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে খাদিজা খাতুন, ফিরোজা খাতুন ও শিল্পী বেগম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন অফিসার আছিয়া খাতুন এর কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দেন তারা।
পৃথক ঘটনায় জেলার গাবতলীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে প্রার্থীদের উপর প্রকাশ্য হামলা ও মারপিট সহ মনোনয় পত্র ছিনতাই এর ঘটনা ঘটেছে । গতকাল সোমবার বিকালে পুলিশের প্রহরায় মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে প্রার্থীদের উপর
হামলার ঘটনা ঘটে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এসময গুলি চালিয়েছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হামলার শিকার প্রার্থীদের অনেকেই অভিযোগ করে জানান, গতকাল ১৮ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেল ৪টার দিকে বগুড়ার গাবতলীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ গ্রহনকারী চেয়ারম্যান ও ভাইসচেয়ারম্যান পদ প্রার্থীদের অনেকেই মনোনয়ন পত্র জামা দেবার জন্য যাবার সময় প্রকাশ্য তাদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
এব্যাপারে চেয়ারম্যান পদ স্বতন্ত্র প্রার্থী এলাকার মৃত তৈয়ব উদ্দিন প্রাং এর ছেলে এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক এনামুল হক অভিযোগ করে বলেন, বিকাল ৮টার দিকে তিনি পুলিশ বেষ্টিত হয়ে ইউএনও অফিসে তার মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন। এসময় উপজেলা সদরের মসজিদের সামনে পৌছলে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী তার উপর হামলা চালায়। এসময় তারা তাকে মারধোর করা শুরু করে এবং তার মনোনয়ন পত্র সহ তার ব্যাক্তিগত ২টি মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে যায়। পুলিশ এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ফাঁকা গুলি বর্ষন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয় ।
এব্যাপারে ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী গাবতলী এলাকার আব্দুল করিম আকন্দের পুত্র সাঈদুর মাষ্টারের উপর হামলা ঘটনায় তাকে মরধোর করে তার মনোনয়ন ছিনতাই এর ঘটনা ঘটে। ফলে তারা সহ অনেকেই মনোনয়ন জমা পারেননি এবং তাদের মনোনয়ন পত্র জমা দিতে দেয়া হয়নি।
এব্যাপারে গতকাল বিকালে (গাবতলী-সারিয়াকান্দি) সার্কেরের সিনিয়র এএসপি তাপস কুমার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ ফাঁকা গুলি বর্ষন করেছে।
ঘটনার পর গাবতলী উপজেলার ইউএনও মুহা আব্দুল ওয়ারেশ আনসারীর উপস্থিতিতে ছিনতাইকৃত মনোনয়ন উদ্ধার করা হয় এবং তা প্রার্থীর নিকট নিদিষ্ট সময়ের মধ্যই হস্তান্তর করা হয়।
শেষ খবর পর্যন্ত, অব্যাহত হুমকী ও ধামকীর কারনে প্রার্থীদের অনেকেই তাদের মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি । আবার অনেকই গাবতলীতে মনোনয়ন জমা দিতে না পেরে জেলা নির্বাচন অফিসে তাদের মনোনয় জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে । এদিকে জেলার বিভিন্ন স্থানে একই ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :