শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৯:৩০ সকাল
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৯:৩০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বুড়িগঙ্গাকে ভাগাড় হিসেবে ধরে নিয়েছে তারা, বললেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

জিয়ারুল হক : বুড়িগঙ্গা নদীর পানি ব্যবহারের অনুপযোগী। মানুষের অসচেতনতা, সরকারি সংস্থা ওয়াসা, সিটি কর্পোরেশন ও শিল্প মন্ত্রণালয় এর জন্য দায়ী। কারণ তারা নদীকে ভাগাড় হিসেবে ধরে নিয়েছে। বলেছেন , পরিবেশবিদ সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সময় টিভি

সম্প্রতি বুয়েটের এক গবেষণায় দেখা গেছে বুড়িগঙ্গা নদীর পানিতে দ্রবিভূত অক্সিজেনের পরিমাণ প্রতি লিটারে পাঁচের বেশি থাকার কথা থাকলেও আছে শুন্যের কাছাকাছি। ভাসমান কণিকা সর্বোচ্চ ১০ এ থাকার কথা থাকলেও আছে ৬০ মিলিগ্রাম। এছাড়াও পানিতে অ্যামোনিয়া ও ক্রোমিয়াম ধাতু সর্বোচ্চ .৫ মিলিগ্রাম থাকার কথা থাকলেও বুড়িগঙ্গায় আছে ১৬.৫ ও ৬০০ গ্রাম। এ বিষয়ে বুয়েটের পানি ও বন্যা ইনস্টিটিউট এর গবেষক মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, প্রকৃতপক্ষে এই পানি কোথাও ব্যবহার করা যাবে না। খাওয়া তো যাবেই না। হাত ধোয়া, কাপড় ধোয়া এবং অন্য কোন কাজ করা যাবে না।

এলাকাবাসীর দাবি ঢাকা শহরের সব ময়লার লাইন বুড়িগঙ্গার সঙ্গে যুক্ত। সমস্ত ময়লা এখানে পড়ছে। পানিতে দুর্গন্ধ, আমরা কোন কাজ করতে পারি না এই পানি দিয়ে। তারা বলেন, লঞ্চের ময়লা নদীতে ফেলছে। এগুলো দেখার কেউ নেই।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দূষণের জন্য ওয়াসা, সিটি কর্পোরেশন, বিআইডব্লিউটিএ, এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদাসীনতা দায়ী। সরকারি সংস্থা বলে কাউকে ছাড় দিলে চলবে না। আমাদের যে পরিবেশ আইন রয়েছে, তার সঠিক বাস্তবায়ন করতে হবে। যারা নদী দূষণ করবে, তারা দূষণ মুক্ত করার খরচ বহন করবে। দূষণকারিদের আর্থিক জরিমানা করলে দূষণ কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়