আব্দুর রাজ্জাক : আফগানিস্তানে প্রায় ১৮ বছরের যুদ্ধের অবসানে তালেবান ও মার্কিন প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। আসন্ন পরবর্তী বৈঠকটি আজ সোমবার পাকিস্তানে হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে। বৈঠকটিতে তালেবানের সকল নেতারা উপস্থিত হতে পারবেন না তাই এটি স্থগিত করা হয়েছে বলে তালেবান জানিয়েছে। ইয়ন
তালেবান সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আমরা বৈঠকের জন্য প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু মার্কিন ও জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক তালেবান নেতা বৈঠকটিতে উপস্থিত হতে পারবেন না তাই আসন্ন আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে। জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র তালেবান নেতাদের কালো তালিকা থেকে বাদ দিলেই কেবল সকল নেতা উপস্থিত হতে পারবেন বলে তারা জানিয়েছেন।’
এদিকে ইসলামাবাদে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পরই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে তালেবানের আলোচনায় বসার কথা ছিলো। এটি আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লংঘন বলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তালেবানের বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তাদের পাকিস্তানে নিমন্ত্রণ জানানো আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লংঘন বলে কাবুল অভিযোগ করেছে।
তবে, তালেবান নেতারা ইতোমধ্যেই আফগানিস্তানের বাইরে দুটি দেশ কাতার ও রাশিয়া সফর করেছে। তালেবান নেতারা একই কারণে দেশ দুটি সফর করেছে এবং কাতারের সংগঠনটির একটি রাজনৈতিক কার্যালয়ও রয়েছে যেখানে অনেক নেতা বৈধভাবেই অবস্থান করছেন।
রুশ সরকারের আমন্ত্রণে তালেবানের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেছে দেশটির কর্মকর্তারা এবং সেখানে আফগান সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কার্জাইসহ অনেক বিরোধী নেতাও উপস্থিত ছিলেন বলে গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছিলো। যদিও এ বিষয়টিও কাবুল জাতিসংঘে তোলে এবং তালেবানের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তাদের মস্কোয় প্রবেশ করতে দেয়ার অভিযোগ করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :