শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১২  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি ◈ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বিজিপির ১৪ সদস্য ◈ ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলার তালিকা প্রকাশ করুন: মির্জা ফখরুলকে ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৫:২০ সকাল
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৫:২০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জামায়াতের গ্রহণযোগ্যতা সংস্কার প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করছে, বললেন আলী রিয়াজ

মারুফুল আলম : জামায়াত কী রকম সংস্কার চায়, তার ওপর তাদের গ্রহণযোগত্যা নির্ভর করছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক আলী রিয়াজ। তিনি বলেন, জামায়াতের সংস্কার দু’ভাবে হতে পারে। এক হচ্ছে, আদর্শিক, যা তিউনেশিয়ায় হয়েছে। দ্বিতীয়টি সাংগঠনিক। যেখানে আদর্শিক কোনো কিছুই পরিবর্তন হবে না। অর্থাৎ রাজনীতি থেকে সরে এসে সামাজিক কার্যক্রমে জড়িত থাকার সিদ্ধান্ত। সোমবার বিবিসি বাংলাকে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, তিউনেশিয়ায় ইসলামী রাজনীতি কীভাবে রাষ্ট্রকে দেখবে, নাগরিকের অধিকার ও নারীর অংশগ্রহণকে কীভাবে দেখবে এসব বিষয়ে আবুল আ’লা মাওদুদী, হাসান আল বান্না এবং সাইয়িদ কুতুবের মতো ইসলামপন্থী নেতাদের আদর্শ থেকে সরে এসে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সেটা গৃহীত হয়েছে এবং তারা এর ওপর অগ্রসরও হতে পেরেছে। সাংগঠনিক সংস্কার যেটি মুসলিম ব্রাদারহুড একসময় করেছে, এখনো করছে। হিজবুল্লাহ এবং হামাসের ক্ষেত্রে একই প্রক্রিয়া দেখা গেছে।
এক্ষেত্রে জামায়াত কোন ধরণের সংস্কার গ্রহণ করছে, সেটা দেখতে হবে। কেবল ১৯৭১ সালের কৃতকর্মের কারণে ক্ষমা চাওয়ার নয়, জামায়াতের সংস্কারের বিষয়টা হতে পারে তাদের দলীয় আদর্শিক অবস্থানের পরিবর্তন। এখন জামায়াত যদি আদর্শিক সংস্কারের পথ বেছে নেয়, তাহলে তাদেরকে মওদুদীর পথ থেকে সরে আসতে হবে। আর সেটা তারা গ্রহণ করবেন কি না তা অনেক বেশি আলোচনার বিষয়। তারা আদৌ সে রকম সংস্কার চাচ্ছে কি না এবং সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরার কোন কৌশলে তারা এগোবে তা দেখার বিষয়। কেবল সাংগঠনিক সংস্কারে এগোলে তারা গ্রহণযোগ্যতা পাবে না বলে মনে করেন আলী রিয়াজ।

২০০১ সাল থেকে জামায়াতের মধ্যে পারস্পরিক যে ভিন্নমত ছিলো, সেটি এখন খোলামেলা হওয়াতে জামায়াতের জন্য কল্যাণকর বলে মনে করেন আলি রিয়াজ। ২০০১ সাল থেকে তাদের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব চলছিলো, তখন তা বাইরে প্রকাশের লোক ছিলো না। এখন এই বক্তব্যগুলো স্পষ্টভাবে বলার মতো প্রতিনিধি তৈরি হলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, আব্দুর রাজ্জাক বা সাবেক শিবির নেতা মুজিবুর রহমানকে এখন প্রশ্ন করা যাচ্ছে এবং তারাও দলের মধ্যে সংস্কারের বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করতে পারছেন, যেটা আগে ছিলো না। ফলে দলের ভেতরে কর্মী, সমর্থক এবং সংগঠকরা এসব প্রশ্নের ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন।
দলের ভেতরেই এক ধরণের আলোচনার জায়গা তৈরি হলো এবং সেইসঙ্গে মতভেদের জায়গাও তৈরি হলো বলে মনে করেন এই বিশ্লেষক। তবে, সমাধানের পথগুলো তারা কীভাবে বিবেচানা করবেন বা প্রক্রিয়া কী হবে সেটা ভবিষ্যতে দেখার বিষয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়