শরীফা খাতুন শিউলী, খুলনা : খুলনার পাইকগাছা উপজেলার চিংড়ী ঘেরে মুক্তিযুদ্ধের সময় পুতে রাখা ৩২টি হ্যান্ড গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করেছে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।
রোববার রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা ৪৮ মিনিট পর্যস্ত যশোর সেনানিবাসের জিওসি ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের মেজর আশফাকের নেতৃত্বে বোমাবিশেজ্ঞ টিম গ্রেনেডগুলো নিস্ক্রিয় করে।
যশোর সেনানিবাসের জিওসি ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের মেজর আশফাক মো: শিবলি পিএসসি বলেন, গ্রেনেডগুলো বেশ পুরনো ও মরচা পড়াছিল। কিস্তু কার্যকর ছিলো। বেশ শক্তিশালীও। গ্রেনেডের সব ন্যাচারগুলো বিদ্যমান ছিলো।
বিশেষজ্ঞ দল একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েগ্রেনেডগুলো ধ্বংস করেছে। এগুলো সবাই বিদেশী। এ ধরনের গ্রেনেড যুগোস্লাভিয়া, রাশিয়াসহ ওই অঞ্চলে তৈরী হয়ে থাকে।
এ সময় পাইকগাছা থানার ভরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ ও ওসি তদন্ত রহমত আলী উপস্থিত ছিলেন।
ওসি বলেন, যশোর বোমা বিশেজ্ঞ টিম গ্রেনেডগুলো মাটির নিচে নিয়ে নিস্ত্রিয় করেছে। এ সময় বিকট শব্দ হয়।
এর আগে রোববার রাতে পাইকগাছার চিংড়ী ঘেরে পৌঁছান বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। তারা ওই এলাকা পর্যবেক্ষণ করেন এবং সেখানে পাওয়া৩২টি হ্যান্ড গ্রেনেড পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এরপর তা ধ্বংস করেন।
ওই এলাকার শাহীন সানা বলেন, নিরাপত্তার সাথে গ্রেনেডগুলো বিষ্ফোরণ ঘটানো হলেও বেশ শব্দ হয়েছে। বিস্ফোরণের শব্দে বোঝা গেছে এগুলো মরিচা পড়া হলেও বেশ শক্তিশালী ছিল।
উল্লেখ্য, রোববার সকালে শ্রমিকরা পাইকগাছা উপজেলার লষ্কর ইউনিয়নের সবুর সরদারের ছেলে কামাল হোসেন ঘেরের বাঁধ দেওয়ারজন্য মাটি কাটার সময় মাটির ১০ ইঞ্চি থেকে ১ ফুট নিচে পুরাতন একটি কাঠের বাক্সর সন্ধান পায়। ওই বাক্স খুলে ৩২টি গ্রেনেড দেখতে পায়। মাটি চাপা থাকা গ্রেনেডগুলোতে মরিচা ধরা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে গ্রেনেডগুলো এখানে পুঁতে রাখা হয়েছিল। থানার এসআইআবুল বাসার ও লিয়াকত আলী ঘটনাস্থলে পৌছে গ্রেনেডগুলো জব্দ করেন।
এরপর দুপুরে র্যাব-৬ এর বোমা নিস্ক্রীয়কারী টিম ঘটনাস্থলে যায়এবং পরীক্ষা- নিরীক্ষা করতে না পেরে ফিরে আসে।
যশোর ক্যান্টনমেন্টের জিওসি-৫৫ পদাতিক ডিভিশনের মেজর আশরাফের নেতৃত্বে বোমাবিশেষজ্ঞ টিম পাইকগাছার গিয়ে গ্রেনেডগুলো নিস্ত্রিয় করে।
আপনার মতামত লিখুন :