জিয়ারুল হক : ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর তৎকালীন তাজ উদ্দিন সরকার রেডিওতে ঘোষণা করেছে, বাংলাদেশ স্বাধীন হবে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজয় বরণ করতেই হবে। সে সময় ঘোষনা করা হয়েছিলো জামায়াতসহ আরো তিনটি রাজনীতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে এবং হয়েছিলো। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমানের আমলে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বৈধ ঘোষণা করা হলে জামায়াতে ইসলামী তাদের রাজনীতির উত্থান ঘটায়। বলেছেন, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। ডিবিসি রাজকাহন
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের রাজনীতিতে এসেছে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনের পর। তারা ছিলো একটু আধুনিক। শিক্ষিত, ও জ্ঞানি মওলানা। তারা আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করার একটা প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলো। তাদের কথাবর্তাও অন্য মওলানাদের থেকে আলাদা ছিলো।
এরপর আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের বিতর্কিত ভূমিকা পালনের জন্য তারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হয়। জিয়াউর রহমানের আমলে তাদেরকে রাজনীতিতে বৈধ করা হলো। তারপর তারা জিয়াউর রহমানের সরকারে যুক্ত হয়ে নিজেদের শক্ত অবস্থানে নিতে সক্ষম হয়।
তিনি বলেন, আমি দেখেছি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার। তাদের কারণে ছাত্রলীগ. ছাত্রদলসহ অন্য কোনো দলের ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি। ক্লাস করতে পারেনি। আমরা পরীক্ষা নিতে গিয়েছি ছাত্র শিবির ছাড়া কোনো ছাত্র পাইনি। তাদের পরীক্ষা আমরা বাইরে নিয়েছি। কোনো হোটেল বা বাসা বাড়িতে আমরা তাদের পরীক্ষা নিয়েছি।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের আমলেই বিতর্কিত দলটি পুনর্জীবন পায়। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বৈধ করার কারণেই জামায়াতে ইসলামী রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে। আর তাদের আধিপত্য ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে।
আপনার মতামত লিখুন :