শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:০২ সকাল
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:০২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জীবননগরের চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন ইরি-বোরো চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভবনা

জামাল হোসেন খোকন, চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার চাষিরা শেষ মূহুর্তে ইরি-বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কোন ভাবেই আর সময় নষ্ট করতে চান না উপজেলার বোরো চাষিরা। শীতের তীব্রতা কমে যাওয়ায় শেষ সময়ে চাষিরা জোরেসোরে শুরু করেছেন বোরো ধান রোপণ কার্যক্রম। উপজেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫০০ হেক্টর বেশী জমিতে বোরো ধানের চাষ হবে।

জীবননগর উপজেলার একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নে চলতি মওসুমে ছয় হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও উপজেলা কৃষি বিভাগের ধারণা এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫০০ হেক্টর বেশী জমিতে ধানের আবাদ হবে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে চলতি মওসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।

উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সামসুজ্জামান বলেন, মধ্য ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বোরো ধানের চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। তবে শীতের তীব্রতার কারণে অনেক সে সময় ধান রোপন না করে বর্তমানে শীতের তীব্রতা কমে যাওয়ায় এখনও রোপন অব্যাহত রেখেছে এবং পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুঁড়ে তা চলবে। চারার বাড়তির ওপর ভিত্তি করে ৩০-৪৫ দিন বয়সের চারা রোপণ করতে হবে। সাধারণ: চারার বয়স ২৫-৩০ দিন হলে ফলন ভাল হয়। তবে শীতের তীব্রতার কারণে চারার বয়স ৫০-৫৫ দিন হলেও ক্ষতি নেই। তবে এর চেয়ে বেশী বয়সের চারা লাগানো ঠিক হবে না। বেশী বয়সের চারা লাগানো হলে প্রতি একদিন বেশী বয়সের জন্য ধানের ফলন হেক্টর প্রতি ২৫-৩০ কেজি কম হবে।

কৃষিবিদ মুন্সী আব্দুস সালেক বলেন,চাষের আগে জমি প্রস্তুতের সময় একর প্রতি ৫০ কেজি মাত্রায় টিএসপি,৪৮ কেজি এমওপি,২৪ কেজি জিপসাম ও চার কেজি দস্তা সার মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। পরবর্তীতে তিন কিস্তিতে একর প্রতি ১০৮ কেজি ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার প্রথম কিস্তির সার চারা রোপনের ১৫-২০ দিন পর,দ্বিতীয় কিস্তি ধানের গোছায় ৪-৫ টি কুশি জন্মানোর পর এবং শেষ কিস্তি কাইস্তে থোড় আসার ৫-৭ দিন আগে প্রয়োগ করতে হবে। সুষম মাত্রায় সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে না পারলে ফলনে বিঘ্ন ঘটতে পারে।

উপজেলার কয়া গ্রামের ধান চাষি বাবলুর রহমান বলেন, চলতি মওসুমে আমি সাত বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বীজতলায় ভাল চারা যেমন পাওয়া গেছে,তেমনি চারা রোপনের পর গাছও বেশ গুছিয়ে উঠছে। ধান কর্তনের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত যদি আবহাওয়া ভাল থাকে তাহলে ফলনও ভাল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের লোকজন আমাদেরকে যে ভাবে পরামর্শ দেন আমরা সে ভাবেই চাষাবাদ করার চেষ্টা করি।

জীবননগর উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকর্তা সালমা জাহান নিপা বলেন,চলতি মওসুমে চলতি মওসুমে উপজেলায় ছয় হাজার হেক্টর জমিতে উফশী ও হাইব্রিড জাতের বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে অতিরিক্ত ৫০০ হেক্টর চাষের সম্ভবনা রয়েছে।

ইতিমধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে অতিরিক্ত ২০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। বাকী দিনগুলোতে আরো ৩০০ হেক্টর চাষের সম্ভবনা রয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও বাম্পার ফলন নিশ্চিত করতে উপজেলা উপ-সহকারী ও কর্মকর্তারা মাঠে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়