ফাহিম বিজয় : বিজ্ঞানীরা দেরিতে ও ভোরে ওঠা দুই দল লোকের মস্তিষ্কে এমআরআই স্ক্যান করেছেন। অনেকেই আছেন যারা মস্তিষ্কের গঠনের জন্য রাতে লম্বা সময় জেগে থাকেন। আর সকালে দেরি করে ওঠেন। অন্যদিকে আর এক দল আছেন যারা একদম সকাল সকাল বিছানা থেকে উঠে পরেন। বিজ্ঞানীরা এই দুই ধরনের মানুষের মস্তিষ্কে তাদের অভ্যাসের প্রভাব বোঝার চেষ্টা করেছেন। বিবিসি বাংলা
স্ক্যান করা ব্যক্তিদের সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা আটটা পর্যন্ত নানা রকম কাজ করতে দেয়া হয়েছে। একই সাথে দিনের বেলায় তাদের ঘুম ভাব কতটা হয় সেটি জানাতে বলা হয়েছে। দেখা গেছে যে অংশ সাধারণত মানুষের চেতনা তৈরি করে, যারা রাত জাগেন তাদের মস্তিষ্কের সেই অংশের সাথে সংযোগ কম থাকে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাদের মনোযোগ কম থাকে, কোন কিছুতে প্রতিক্রিয়া বিলম্বিত হয় এবং তাদের ঘুম ঘুম ভাব বেশি থাকে। আর যারা সকালে ওঠেন তাদে ঘুম ভাব কম থাকে। তারা কাজগুলোও দ্রুত করেন। যারা দেরিতে ওঠেন তাদের দিনে ঘুম ঘুম ভাব বেশি থাকে। তাদের কর্মক্ষমতাও সারা দিনভর ভালো দেখা গেছে। কিন্তু যারা রাত জাগেন তারা রাত আটটার পর একেবারে অন্যরকম প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। সেসময় তাদের ঘুম ভাব কমে যায় ও প্রতিক্রিয়া দ্রুত হয়। এতে তাদের জীবনে কী ঘটে?
গবেষকরা বলছেন, ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ মানুষ দেরিতে ঘুম ও দেরিতে ওঠা পছন্দ করেন। রাত জাগা আর দেরিতে ওঠা ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যে এর কী প্রভাব পড়ে? স্বাভাবিক রুটিনের যেসব কার্যক্রম রয়েছে যেমন সকালে একটি নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে বা স্কুলে যাওয়ার জন্য তারা কতটা উপযোগী সেনিয়ে আরো গবেষণার কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা। এই গবেষণার প্রধান গবেষক ড. এলিস ফেসার-চাইল্ডস বলছেন, এমন মানুষদের স্কুল জীবনে সকালে উঠতে হয়, কর্মজীবনে হয়তো আরো আগে উঠতে হয়। সারাজীবন তাদের শরীরের ছন্দের বিপরীতে লড়াই করে কাজ করতে হয়। তিনি বলছেন, শরীরের ছন্দের বিপরীতে কাজ করলে তাদের কর্মদক্ষতা ও স্বাস্থ্য দুটোতেই সম্ভবত নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সকালের দিকে তাদের কাজের দক্ষতা বেশ কম থাকতে পারে। তিনি মনে করেন, সমাজে সময়ের ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ধারণা তাদের জন্য নমনীয় হলে হয়তো তাদের কর্মদক্ষতা ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি দুটোই ভিন্ন হতো।
আপনার মতামত লিখুন :