সুমন পাইক : শিশু ক্যান্সার প্রতিরোধে ‘আর নয় কষ্ট আর নয় মৃত্যু’ এই স্লোগান সামনে রেখে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) শিশু হেমাটোলজি ও আনকোলজি বিভাগ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে। সকাল দশটা থেকে ঢামেক ক্যাম্পাসে এই কর্মসূচী পালিত হয়। প্রথমে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্ভোধন করেন অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। এর পর সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে ক্যান্সার থেকে পুরোপুরি সুস্থ্য হওয়া এবং সুস্থ্যের পথে এমন রোগীদের সাথে নিয়ে ডাক্তার , নার্স ও সংস্লিষ্টরা ক্যাম্পাসে র্যালি করেন। র্যালি শেষে শিশু ক্লাশ রুমে আলেচনা সভা, ম্যাজিক সো ও নাটক প্রদর্শিত হয়।
চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য জিবনে ফিরে আসা শিশুরা ও শিশুদেও পরিবারের লোকজন তাদের অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে শেয়ার করেন। ম্যাজিসিয়ান উলফাত কবির ম্যাজিক দেখিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেন। শিশুরা ছবি আঁকে ও নাচগান করে আনন্দে সময় কাটায়। জাহাঙ্গীর নগর হাসপাতালের নাটক বিভাগের প্রফেসর হারুন রশীদ পুতুল নাট্য ‘কুটুমবাড়ি’ পরিবেশন করেন।
ঢামেকের শিশু হেমাটোলজি ও ক্যান্সার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এ কে এম আমিরুল মোরশেদ খসরু জানান, দেশে প্রতি বছর ৬ থেকে ৯ হাজার শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। আক্রান্তের হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আশার কথা হচ্ছে সঠিক সময় রোগ নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসা দিলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগীকে পুরোপুরি সুস্থ্য করা সম্ভব। এই বিষয়ে জনসচেতনাতা বারাতে হবে বলে জানান তিনি।
একই বিভাগের প্রেফেসর ডা. জোহরা জামিলা খান জানান, শিশুদের মধ্যে কোলন ও লিভার ক্যান্সার বেশি হয়। শাকসবজি কম খাওয়া ও ফাস্টফুড ও কোমল পানীয় বেশি খাওয়া এ প্রধান কারণ। কোমল পানীয়ে টক্সিন নামের একটি উপাদান লিভার ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ি। তাই এই বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢামেকের শিশু বিভাগের প্রধন প্রফেসর ডা. সাঈদা আনোয়ার, প্রফেসর ডা. মনীষা ব্যানার্জী, প্রফেসর ডা. ইফফাত আরা শামসাদ, সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাজনীন রুবি, ডা. ফারজানা মুনমুন, ডা. জান্নাত আরা, ডা. রেজানুর রহমান, ডা. সুমন শাহরিয়ার, ডা. মীর্জা রেজাউস সাকী ডা. এস এম তাওহীদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন ডা. আজকা সেঁজুতি সার্বিক ত্বত্তাবোধানে ছিলেন প্রফেসর ডা. জোহরা জামিল খান। সহায়তা করে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন, বীকন ফার্মাসিউটিক্যাল ও হেল্প কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।
আপনার মতামত লিখুন :