সাজিয়া আক্তার : দুটো মানুষের সারা জীবনের সুখে-দুঃখে কাটানোর জন্য পবিত্র এক বন্ধনের নাম বিয়ে। আর সেই বিয়ের পর মানুষের দাম্পত্য জীবনে সুখের বদলে যদি হয় ঝগড়া আর কলহময়, তাহলে বিষয়টা অনেকটাই মন্দের দিকে যায়। যেমনটা ঘটেছে প্রদীপ আর শম্পার জীবনেও। ভুলবোঝাবুঝিতে ঝগড়া আর কলহের জেরে প্রায় এগারো বছরের দাম্পত্য শেষ হতে বসেছিলো । কিন্তু খুশির কথা পুলিশের কথায় বিবাদ ভুলে ফের এক সঙ্গে থাকার শপথ নিলেন দু’জনেই। যমুনা টিভি
এগারো বছর আগে জয়নগরের কাঁসারিপাড়ার প্রদীপ দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় শাহাজাদাপুরের শম্পার। ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন দু’জন। বিয়ের বছর তিনেকের মধ্যে জন্ম হয় ছেলে অভিরাজের। দিব্যি চলছিল সংসার। তবে এর মধ্যে মাথাচাড়া দেয় দাম্পত্য কলহ। নানা ভুলবোঝাবুঝিতে ফাটল ধরে প্রদীপ-শম্পার সম্পর্কে।
বছর খানেক আগে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যান শম্পা। তার পর থেকে আলাদাই ছিলেন দু’জনে। কয়েক দিন আগে প্রদীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে জয়নগর থানায় আসেন শম্পা। বিচ্ছেদ চান তিনি।
ও দিকে স্বামী প্রদীপও অভিযোগ জানাতে চান স্ত্রী শম্পার বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত বিবাদমান স্বামী-স্ত্রীকে নিয়ে এক সঙ্গে বসিয়ে দাম্পত্য সমস্যা মেটায় কলকাতা পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের জয়নগর থানার পুলিশ কর্মীদের উদ্যোগে থানা লাগোয়া মন্দিরে টোপর-মুকুট মাথায় পরে নতুন বরবউয়ের সাজে নতুন করে জীবন শুরুর শপথ নেন স্বামী-স্ত্রী। তাঁদের পুনর্মিলনের পেছনে পুরো কৃতিত্বটাই জয়নগর থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের দেন দু’জনেই।
আপনার মতামত লিখুন :