বাশার নূরু: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বড় বড় রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ না করাটা হতাশাব্যঞ্জক। বড় বড় রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। এটা অবশ্যই একটা হতাশাব্যঞ্জক খবর। আমরা সব সময় চেয়েছি নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হোক। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক, সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দায়িতপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধনকালে সিইসি এই মন্তব্য করেন।
সিইসি বলেন, সার্বিকভাবে অংশগ্রহণমূলক না হলেও এই নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হবে। কারণ, এই স্থানীয় নির্বাচনে দলের মধ্যে বা বাইরে অনেক যোগ্য লোক থাকেন, যারা নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করেন। সুতরাং প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন যে হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।কর্মকর্তাদের সতর্ক করে সিইসি বলেন, আপনাদের কোনো আচরণের কারণে যদি নির্বাচন ব্যাহত হয়, বিঘ্নিত হয়, সেটা কিন্তু আমরা কঠোরভাবে দমন করব। আপনারা কেবল আইনকানুনের ভিত্তিতে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করবেন। আপনাদের কোনো দল নেই, মত নেই। রাজনৈতিক দলকে কোনো পরামর্শ দেওয়ার সুযোগ নেই। সাংবিধানিক, আইনকানুনের যতটুকু দায়িত্ব আছে, তার বাইরে আর কোনো চাওয়া নেই। সিইসি বলেন, অনেক সময় অনেকে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে থাকেন জেনে বা না জেনে। অনেক সময় দেখা যায়, রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর জানার বাইরে অথবা তার সম্মতির বাইরে উৎসাহী লোক বা কোনো সমর্থক এগুলো করে থাকে। এগুলোর ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে।
নূরুল হুদা আরও বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীর পোলিং এজেন্টরা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের আশ্বস্ত করতে হবে যে তারা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের পর রেজাল্ট সিট নিয়ে নিরাপদে ফিরে যেতে পারবেন। তারা যাতে নিরাপদে কেন্দ্রে আসতে পারেন, সে ব্যবস্থা করতে হবে। তবে এজেন্ট দেবেন প্রার্থী। অনেক সময় অনেক দুর্বল প্রার্থী এজেন্ট দিতে পারেন না। এজেন্ট দিলে তাদের নিরাপত্তা দিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :