হ্যাপি আক্তার : সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের পর অগ্নিনির্বাপনে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ২০১৭ সাল থেকেই ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষের ঝুঁকিপূর্ণ হাসপাতালের তালিকায় ছিলো ২৪৮টি প্রতিষ্ঠান। যদিও সরকারি-বেসরকারি কোনো হাসপাতালই ফায়ার সার্ভিসের সতর্কবার্তা আমলে নেয়নি, বাস্তবায়ন করেনি তাদের সুপারিশও। যে তালিকায় নাম ছিলো সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালেরও। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, নিজস্ব কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি লিখছেন তারা। ডিবিসি নিউজ।
খুব কম সংখ্যক অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রয়েছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের। বৈদ্যুতিক তারগুলিও ঝুঁকিমুক্ত নয়। পরিচালক বললেন, বেশ কয়েকবারই এই হাসপাতালে আগুনের ঘটনা ঘটেছে, যেগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনাতেই নির্বাপন করা সম্ভব হয়েছে।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আফজালুর রহমান বলেন, আমাদের হাসপাতালের সবগুলো লাইন ঠিক আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে আমরা বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়েছি। এছাড়া আমরা ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকেও চিঠি দিয়েছি, আমাদের হাসপাতালে এসব দুর্ঘটনা রোধে কতটা যন্ত্রপাতি বা জনবলের প্রয়োজনীতা জানাতে।
রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনষ্টিটিটিউট ও হাসপাতালে যেসব অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র আছে তাদের বেশিরভাগের উপরই ধুলার আস্তরন। দীর্ঘ সময় ধরে এই যন্ত্রটি এমনিই পড়ে আছে। পরিচালক বললেন, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের অভাবতো নেই, তবে তা ব্যবহারের জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মোয়াররাফ হোসেন বলেন, যন্ত্রপাতি থাকা সত্বেও সেগুলোর ব্যবহার জানবে না, এটি উচিত নয়। উর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে একবারে পিয়ন পর্যন্ত সকলেই এসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার জানে, যাতে করে এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারি।
২০১৭ সালে ঢাকার ৪৩৩টি হাসপাতালের ওপর জরিপের পর একটি প্রতিবেদনে ২৪৮টি হাসপাতালকে ঝুঁকিপূর্ণ ও ১৭৪টিকে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ফায়ার সার্ভিস। সরকারি হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকেও সতর্ক করা হয়েছিলো তখন।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান বলেন, বেশিরভাগ হাসপাতালেরই বৈদ্যুতিক যেসব লাইন আছে তা অনেক পুরনো হয়ে গেছে। তাছাড়া ফায়ার এক্সিটগুলোও নিরাপদ না। আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এসব ব্যাপার জানিয়েছি। অগিকাণ্ড হলে কোনো অবস্থাতেই যেন জীবন-মানের ক্ষতি না হয়, সে বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছি। সম্পাদনা : রাজু
আপনার মতামত লিখুন :