কেএম নাহিদ : বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম আজিজ বলেছেন, মাদক অভিযানকে সরকার বলেছিলো কঠিন এবং কঠোর, কিন্তু এখন কঠিন না নরম তা বোঝা যাচ্ছে না। কক্সবাজারে সাবেক এমপি বদিকে বাঁচাতে এই অভিযান, বলছে কক্সবাজারবাসি। বদি মূল ব্যবসায়ী তার আত্মীয়স্বজন সব এই ব্যবসার সাথে জড়িত। তাদের আত্মসমর্পণ করে কিভাবে এই অভিযান সফল হবে। তালিকার ১০২ জনের মধ্যে বদির আত্মীয় আছে দুই ডজন। শনিবার ডিবিসি টেলিভিশনের সংবাদসম্প্রসারণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এম আজিজ বলেন, অপকর্ম সরকারের সাথে যারা থাকে তারাই বেশি করে, অনেক রিপোর্ট বের হয়েছে , এর সাথে সরকারের আইন শৃঙ্খলাবাহিনী পুলিশ বিজিবি যুক্ত। সরকার কিভাবে বলছে জিরো টলারেন্স দেখাবে,আমার বোধ আসছে না। যেখানে প্রশাসনের সবাই জড়িত, সেখানে কিভাবে এই অভিযান আলোর মুখ দেখবে আমি বুঝতে পারছি না। এই অভিযানের মাধ্যমে সবাইকে রক্ষার একটা পথ করে দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা জানি বনদস্যু আত্মসমর্পণ করে, জলদস্যু আত্মসমর্পণ করে, কিন্তু ইয়াবা ব্যবসা ভংয়কর ব্যবসা, ফরমাল ব্যবসা না। এই ব্যবসা আমাদের দেশের জীবনীশক্তিকে ধংস করে দিচ্ছে, এবং হুন্ডি ব্যবসার মাধ্যমে আমাদের দেশকে শেষ করে দিলো। ব্যবসায়িদের আত্মপক্ষ সমর্থন করার জন্য আত্মসমার্পণ করতে বলা হচ্ছে? এসব ব্যবসা করে যে পুঁজি করলো তার কি হবে। এই ব্যবসার আর একটি দিক হলো, মায়ানমার থেকে ইয়াবা আসে, কোন টাকা দিতে হয় না ধরা পড়লে এপারেও কোন টাকা দিতে হয় না। বিত্রিæর পরে কক্সবাজার এবং ঢাকায় তাদের এজেন্টের মাধ্যমে টাকা দুবাই সিঙ্গাপুর হয়ে মায়ানমারে যায়।
আপনার মতামত লিখুন :