চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছায় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আব্দুল বারিক (৪৫) নামে ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় তার সহোদর আনিছুর রহমান (৪০) মারাত্মক আহত হয়েছে।
রোববার সকাল সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের চারাবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল বারিক উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের চারাবাড়ি গ্রামের আজিজুর রহমানের পুত্র ও স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা যুবলীগের আহব্বায়ক ও চৌগাছা উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশীষ মিশ্র জয়। তিনি আরো বলেন হামলাকারীরা গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের দিন আওয়ামী লীগে যোগদান করেছিল।
চৌগাছা হাসপাতালে নিহতের ভাই আবুল বাশার সাংবাদিকদের জানান, তার দুইভাই আব্দুল বারিক ও আনিছুর রহমান নিজেদের একটি পুকুরে মাছ ধরছিলেন। এসময় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা হামলা করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের হাসপাতালে আনা হয়।
ফুলসারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদুর রহমান পান্নু জানান, আওয়ামী লীগের অপর গ্রুপের চিহ্নিত কয়েকজন সন্ত্রাসী তাদের উপর হামলা করে ধারালো অস্ত্রদিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল বারিককে মৃত ঘোষণা করেন এবং তার সহোদর আনিছুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
চৌগাছা ৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার সুরাইয়া পারভীন বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই আব্দুল বারিকের মৃত্যু হয়েছে। আর আনিছুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তিনি জানান নিহত ও আহত উভয়ের শরীরের একাধিক স্থানে দেশীয় অস্ত্রদিয়ে আঘাত করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল থেকে মোবাইল ফোনে চৌগাছা থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এসএম আকিকুল ইসলাম বলেন, নিহত ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পরস্পর বিরোধী একাধিক মামলা রয়েছে। স্থানীয়ভাবে একাধিকবার মিমাংশার চেষ্টা করা হলেও সেটি মেটেনি। এর সূত্র ধরে আজ রোববার নান্নু, জুলু, আরিফসহ পাঁচছয় জন অতর্কিত হামলা করে। তিনি বলেন এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপের প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগে সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান এবং সেক্রেটারী ফুলসারা ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ চৌধুরীরর দুটি গ্রুপ বিদ্যমান। নিহত আব্দুল বারিক মেহেদী মাসুদ চৌধুরীর অনুসারী বলে পরিচিত।
আপনার মতামত লিখুন :