শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১৫ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির ◈ কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকি, আইনের শাসনে জীবনযাপন করি: ড. ইউনূস

প্রকাশিত : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:০০ সকাল
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আনিসুল হক মনে করেন, কবি হিসেবে আল মাহমুদ কবিতাপ্রেমীদের কাছে বেঁচে থাকবেন কিন্তু রাজনৈতিকভাবে গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছিলেন অনেক আগেই

সৌরভ নূর : আল মাহমুদ বাংলা সাহিত্যের একজন বড় এবং জনপ্রিয় কবি। শেষ বয়সের দিকে এসে চোখে ভালো দেখতে পেতেন না, ফলে লিখতে পারতেন না, তারপরেও মুখে মুখে যে কবিতাগুলো বলতেন সেগুলোও ছিলো অসাধারণ। আসলে কবি হিসেবে তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবিদের মধ্যে একজন। অন্যদিকে আপাতদৃষ্টিতে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির বিপরীতে ছিলেন যদিও কিন্তু বাংলাদেশের গ্রাম, বাংলাার প্রকৃতি, গ্রামীণ মানুষের জীবনযাপন এবং লৌকজ শব্দের ব্যবহার তার কবিতায় উঠে এসেছে। তিনি বাঙালি মুসলমান কবি সমাজের প্রতিনিধিত্ব করতেন, আবার একইসঙ্গে বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দেশে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন যারা তাদের সাথেও ছিলেন। আসলে রাজনৈতিক মতবাদের জায়গায় তিনি স্থির ছিলেন না বলে আমার মনে হয়। লেখক ও সাংবাদিক আনিসুল হক কবি আল মাহমুদ সম্পর্কে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রথম জীবনে তিনি ছোট চাকরি করতেন যে জন্য পার করতে হয়েছে চরম সংকট, পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে সহকারী পরিচালকের কাজ পেয়েছিলেন। একটা সময় তিনি জাসদের একটি পত্রিকাতে কাজ করতেন সেই সময়েই তিনি বামপন্থি মতাদর্শের কবিতাগুলো লিখেছিলেন। যার মধ্যে অমর হয়ে থাকবে ‘সোনালী কাবিন’ কাব্যগ্রন্থ। এরপর অনেকটা সময় দিকবিদিক ছোটাছুটি করে একটা সময়ে তিনি জামায়াতের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন। অবশ্য তিনি বলতেন ওরা আমাকে নিয়েছে, কিন্তু আমিতো ওদের কাছে যাইনি। যেকোনো কারণে তিনি হয়তো জামায়াতের সংস্পর্শে গিয়েছিলেন, কিন্তু ব্যক্তি জীবনে তিনি কখনোই মৌলবাদি ছিলেন না, তিনি বরাবরই ডানপন্থি চিন্তাধারার ছিলেন। তারপরেও আমরা দেখেছি দ্ইু মেরুর দু’জন আল মাহমুদ ও শামসুর রাহমান বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একত্রিত হয়েছেন। রাজনৈতিক দর্শনের কারণে অনেকেই তাকে অপছন্দ করলেও রাজনৈতিক আদর্শের বাইরে এসে তার কবিতা দেশের অপামর জনগণের পছন্দের কবিতা। একশো বছর পরে তার কবিতাটাই থেকে যাবে তার রাজনৈতিক সামর্থ্যরে কথা পাঠকরা কেউ মনে রাখবে না হয়তো। সর্বোপরি তিনি একজন বড়মাপের কবি এবং সবার প্রিয় কবি হয়ে কবিতাপ্রেমীদের কাছে বেঁচে থাকবেন কবি আল মাহমুদ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়