শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৩:৫৭ রাত
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৩:৫৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আল মাহমুদ : বিচিত্র সমাজ ও অদ্ভুত এক দেশে জন্মেছিলেন আপনি

অজয় দাশগুপ্ত : তিনি যখন কবিতা লিখতেন তখন কবিরা রাজকবি হতে শেখেনি। বাংলা কবিতার প্রেম ও দ্রোহ এই দুই ধারা বুকে নিয়ে লিখতেন বলেই লিখতে পেরেছিলেন, বধূ বরণের নামে দাঁড়িয়েছে মহামাতৃকুল/গাঙের ঢেউয়ের মতো বলো কন্যা কবুল কবুল।
লিখেছেন, ‘এশিয়ায় যারা আনে কর্মজীবী সাম্যের দাওয়াত তাদের পোশাকে এসো এঁটে দিই বীরের তকমা’। আপনারা তাকে মনে রাখার কে, হে? একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়া তিনি তখন ইত্তেফাকে ছোট একটা কাজ করতেন। পা-ুলিপি সাথে নেয়ার সময় না তখন। সেসব ড্রয়ারে ফেলে কলকাতা যাওয়া কবির বই বের করার ঘোষণা দেয় অরুণা প্রকাশনী। তার কবিতা পকেটে করে এনে জমা দিয়ে গেছিলেন বর্ধমানের কৃষক। তার কবিতা পড়ে চমকে উঠেছিলেন দ্ুঁদে সম্পাদক সাগরময় ঘোষের মতো মানুষ।
আপনারা তো তারাই যারা মনে করেন কবিতা মানে হয় বন্দনা নয় স্লোগান। পায়ে মাখতে মাখতে রাজপথে নামাতে নামাতে বাংলা কবিতার কী চেহারা করেছেন দেখেছেন কখনো? তিনি তা করেননি।
বড় বড় আদর্শের বুলি আওড়ান। বুকে জড়িয়ে রাখা পাকি খেলোয়াড় গালে আঁকা পাকি পতাকার দিকে তাকিয়েছেন একবারও? আপনারা আইয়ুব খানের নামে লেখা কবিতার লাইন পাল্টে বঙ্গবন্ধুর নাম করে দিয়ে দেশপ্রেমিক। তিনি এমন কিছু করেননি, করতে জানতেন না। পারলে পানকৌড়ির রক্ত বা জলবেশ্যার মতো গল্প লিখে দেখান। যৌবন জীবনকে কামরাঙা করে তুলুন তো দেখি?
তার ঘোর অভাবের সংসার ছিলো। আজীবন কাব্য হিংসা, কবি হিংসার শিকার ছিলেন। তেল দেয়ার ভাষাও হয়তো রপ্ত করতে পারেননি। গেটআপও কেমন ধার্মিক টাইপের। তাই সব মিলে একঘরে করে কী আনন্দে কাটালেন এতোগুলো বছর।
তার পরিবর্তন বা আদর্শিক বিচ্যুতি কখনো সমর্থন করিনি। করবোও না। জাপান ও হিটলারের সাথে যাওয়া বাঙালি বীর সুভাষ বসুকে আপনি অস্বীকার করেন? শেষ জীবনে বিজেপি করা ভূপেন হাজারিকার গান আপনাকে উদ্বেলিত করে না? তার কবিতাও করবে আজীবন অনাদিকাল।
তার রাজনৈতিক স্খলন বা পতন আমার আলোচনার বিষয় নয়। এ দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরও আমরা স্বাধীনতাবিরোধী হতে দেখেছি। এমন কোনো দল নেই জামায়াতীদের সাথে গলাগলি করেনি। তাদের বেলায় মাফ থাকলে তার বেলায় কঠোর কেন? আমি সবসময় তার কবিতার ভক্ত। থাকতে যেমন চলে যাবার পরও তাই আছি। আল মাহমুদ, বিচিত্র সমাজ ও অদ্ভুত এক দেশে জন্মেছিলেন আপনি।
এমন কবি বাংলা সাহিত্যে বারবার জন্মায় না যিনি লিখবেন, কবিতা চরের পাখি, কুড়ানো হাঁসের ডিম,গন্ধভরা ঘাস, স্নানমুখ মেয়েটির দড়ি ছেঁড়া হারানো বাছুর কবিতা তো মক্তবের মেয়ে চুলখোলা আয়েশা আক্তার।
আপনাকে শেষ বিদায় জানাই শ্রদ্ধা ও প্রণামে। মার্জনা করবেন রাজনীতি আক্রান্ত আক্রোশপ্রিয় আমাদের। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়