রহমান রোকন : বাংলা কবিতায় ‘আজান’ ‘ফেরেস্তা’ ‘কবুল’ ইত্যাদি ধার্মিক টার্ম ব্যবহার করে বাঙালি মুসলমানদের প্রিয় কবি হয়ে ওঠা আল মাহমুদ আসলে আমাদের চেতনার জগতে মারাত্মক ক্ষতি করেছেন। হুমায়ুন আজাদ তার আধুনিক বাংলা কবিতায় তাকে স্থান দেননি সঙ্গত কারণেই। রাজনৈতিক মতাদর্শ দ্বিতীয় ব্যাপার। ক্রমাগত একটি বিশেষ ধর্মের লোকদের তিনি তার কবিতায় উজ্জীবিত করে গেছেন আধুনিক অসাম্প্রদায়িকতার বিপরীতে। আল মাহমুদ প্রসঙ্গে হুমায়ুন আজাদ এখানে প্রণিধানযোগ্য-
...আল মাহমুদ, একটি অমার্জিত রুচিসম্পন্ন, অসৎ, কপট মানুষ। এই আল মাহমুদ অনেক আগে পাড়ার মসজিদ ভেঙে পড়ার শব্দ শুনে আনন্দিত হয়ে কবিতা লিখেছে। যে ‘হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে পাড়ার মসজিদ’।... এখন সে একটি রুচিহীন, অসৎ, কপট, জামায়াতী মৌলবাদী এবং তার মধ্যে একটি মজার কপটতা হচ্ছে সে যখন বাংলাদেশের পত্রিকায় কবিতা লেখে তখন সে ইসলামের কবিতা লেখে। আর যখন ভারতীয় পত্রিকায় কবিতা লেখে তখন হিন্দু আর বৌদ্ধের কবিতা লেখে।...সুবিধাবাদী মানুষের সাহিত্য আসলে সাহিত্যই নয়। আল মাহমুদের যে কিছু লেখা এখন কবিতা নামে ছাপা হয় ওগুলো কবিতাই নয়। ওগুলো হচ্ছে কতোগুলো বাজে কথা। ওর একটি আত্মজীবনী আমি পড়েছি এবং পড়ে মজা পেয়েছি এজন্য যে, পাতায় পাতায় মিথ্যা কথা রয়েছে।...
বন্ধু অমি রহমান পিয়াল যা লেখেছে তার চেয়ে বড় সত্য আমরা দেখিনি-আল মাহমুদ সোনালী কাবিন লেখছিলেন, সেটা পড়ে সুশীলরা ১৯৬৬ সালে স্বমৈথুনের আমোদ পেতেন, তাই ভুলতেই পারেন না...
আল মাহমুদের যেভাবে বেড়ে উঠি বইটিতে একটি বিশেষ সম্প্রদায় নিয়ে তার যে মিথ্যাচার সেটা পড়ে সেই কৈশোরেই নাম দিয়েছিলাম যেভাবে মিথ্যা বলি। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :