নূর মাজিদ : ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত একটি গবেষণা সংস্থা দেশটির সরকারের অর্থনৈতিক তথ্য নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছে। মুম্বাইভিত্তিক এই সংস্থাটির নাম সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ফাইন্যান্সিয়াল রিসার্চ অ্যান্ড লার্নিং। গত বৃহ¯পতিবার সংস্থাটির পরিচালক অমর্ত্য লাহিড়ী মধ্যবর্তী বাজেটে প্রস্তাবিত আর্থিক তথ্য পুনরায় যাচাইয়ের ভার একটি স্বাধীন কমিটির হাতে ছেড়ে দেয়ার আহব্বান জানান। ইকোনমিক টাইমস, ইয়াহু নিউজ
শ্রী লাহিড়ী বলেন, চলতি অর্থবছরের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যে মধ্যবর্তী বাজেট প্রনয়ন করেছে তা নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে, বাৎসরিক প্রবৃদ্ধি এবং বাজেট ঘাটতির যে আকার দেয়া হয়েছে তা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এটি এমন একটি পরিস্থিতি যেখানে বাজার বিশেষজ্ঞ, অর্থনৈতিক পরামর্শক সংস্থা এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীরা সবাই নিজের মতো করে অর্থনৈতিক পূর্বাভাষ নির্ণয়ের চেষ্টা করছে। কারণ তারা কেউই সরকারের দেয়া তথ্যের নির্ভরযোগ্যতার ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং তাদের সংস্থা অত্যন্ত অসন্তুষ্ট। শ্রী লাহিড়ী দেশটির একটি অর্থনৈতিক দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন কথা জানিয়েছেন।
ভারতের মধ্যবর্তী বাজেটের ঘাটতির পরিমাণ মোট জিডিপির ৩ দশমিক ৪ শতাংশ হবে বলে জানানো হয়। যার দুই সপ্তাহ পড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালিত গবেষণা সংস্থাটি এই নিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা প্রকাশ করলো। এই তথ্যে ভারতীয় অর্থনীতির অনেক বিশেষজ্ঞ বিস্ময় প্রকাশ করেন। কারণ, তাদের ধারনার চাইতেও অনেক কম পরিমাণ ঘাটতি এবং জিডিপির আকার বেশি দেখানো হয়েছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সুবিধার লক্ষ্যে বাজেটে এমন অসংলগ্ন তথ্য দেয়া হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :