রুহুল আমিন : বিএনপির রাজনৈতিক বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জি-নাইনের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সাখায়াত হোসেন সায়ন্ত বলেছেন, সরকারের উপর জনগনের আস্থা নেই। যদি থাকতো তাহলে সরকার রাতের আঁধারে কখনোই ভোট সিল মেরে রাখতো না। যদি জনগণ প্রকাশ্যে আস্থা রাখার সুযোগ পেত বা দেওয়া হতো এবং সেইভাবে তারা ভোট প্রয়োগ করতে পারতো তাহলে বুঝা যেতো জনগণ বা ভোটারের উপর তাদের ভোট প্রকাশ্যের উপরে সরকারি দল বা আওয়ামী লীগ আস্থা রেখেছে। আপনারা তো বিরোধী দলের প্রার্থীদের, কর্মীদের জেলে ভরেছেন, প্রার্থীদের বাড়ি ছাড়া করেছেন, নানান রকম নিপীড়ন করতে প্রসাশনকে ব্যবহার করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশী কালচার সরকারী দলে থাকলে সবাই কমবেশি করে তারপরেও যদি মনে করতেন জনগণকে ভোটটা দেওয়ার সুযোগ দিতেন তাহলে জনগণ আমাদের উপর আস্থা রেখেছে কিনা ফলাফলের মাধ্যমে সেটা বুঝা যেত। বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা বলছে পাঁচটি স্বৈরতান্ত্রিক দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি বা এই সরকার। সরকারের প্রতি অনাস্থা থাকলেও সরকার যদি অস্ত্রের ব্যবহার রাষ্ট্র যন্ত্রের নির্মম ব্যবহারে বেশি উৎসাহিত হয় তারা যদি সেটা করে জনগণকে দাবাতে চায়, পৃথিবীর বহু দেশে এইরকম উদাহরণ আছে স্বৈরতান্ত্রিক সরকারগুলো দীর্ঘ দিন রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে অস্ত্রের মুখে যেটি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ করেছে, সেটি আরো ভয়াবহ ভাবে এ সরকার করছে। সুতরাং রাজপথে আন্দোলন করে সরকারকে পরাজিত করতে না পারা বা তাদের থেকে ন্যায্য দাবি আদায় করতে না পারা সেটি ওই আন্দেলন কারীর সরকারের সক্ষ্যমতার প্রশ্ন, তাদের প্ল্যানিং এর প্রশ্ন একি সঙ্গে সরকারে যারা থাকে তাদের নিপীড়নের মাত্রার প্রশ্ন সেটা দিয়ে আপনি আস্থার মাপকাঠিতে ফেলে বলতে পারবেন না।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু তাদের দাবি আদায়ের বাধ্য করতে পারি নাই তার মানে এই নয় যে, জনগণের উপর তাদের আস্থা আছে। শান্তি প্রিয় জনগণ অনাস্থা প্রকাশ করে ভোটের মাধ্যমে। আপনারা তো তাদের ভোট দিতে দেন নাই, দলীয় কর্মীরা অনাস্থা প্রকাশ করে আন্দোলনের মাধ্যমে সেই আন্দোলন বিএনপি বা তাদের জোট অনেকবার গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা করেছে সেখানে সফল হয়নি কারণ হচ্ছে ঘুম, খুন ক্রসফায়ার।সরকারের রাষ্ট্র যন্ত্রের একচ্ছত্র যে নির্মম ব্যবহার এর বিরুদ্ধে কুলিয়ে উঠতে পারে নাই। তার মানে বলতে পারবেন না জনগণের উপর সরাকারের আস্থা আছে।
আপনার মতামত লিখুন :