আক্তারুজ্জামান : ইতিহাস বদলানো হলো না মাশরাফি বিন মর্তুজাদের। নেপিয়ারের পর ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভালেও দেখা গেলো সেই একই দৃশ্য। চরিত্রগুলোর মধ্যে ছিল না কোনো পার্থক্য। সেই মিঠুন, সেই গাপটিল আর সেই আট উইকেটের হার। সব মিলিয়ে নিউজিল্যান্ড সফরে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ খুঁইয়েছে বাংলাদেশ দল। প্রথম ম্যাচের মতো গতকাল দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও আট উইকেটে হেরেছে সফরকারী দল।
মেহেদি হাসান মিরাজের প্রত্যাশার পারদটা অনেক উঁচুতে উঠলেও মাঠের খেলাতে ছিল না সেই দৃশ্য। মাশরাফির নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা ছিল সবারই। কিন্তু তামিম, রিয়াদ, লিটন কিংবা দুশোতম ম্যাচ খেলতে নামা মুশফিকও দলের হাল ধরতে পারেননি। প্রথম ম্যাচের মতো মোহাম্মদ মিঠুন কালও ছিলেন সফল। আগের ম্যাচের চেয়ে এদিন দলীয় ৬ রান কম ছিল। তবে ব্যাতিক্রম ছিলেন সাব্বির। ৬৫ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলে ফিরে আসার আগমনী গান শুনিয়েছেন।
২২৭ রানের মামুলি লক্ষ্য পার করতে কোনো সময়ই নেয়নি স্বাগতিকরা। ওপেনার মার্টিন গাপটিলের ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরিতে ভর করে আট উইকেটের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। যদিও দলীয় পঞ্চাশ হওয়ার আগে হেনরি নিকোলসকে ফিরিয়ে আশা জাগিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। কিন্তু উইলিয়ামসনের সঙ্গে ১৪৩ রানের জুটি গড়ে আর কোনও বিপদ হতে দেননি তিনি।
দলীয় ১৮৮ রানে মুস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকারে ফেরার আগে ৮৮ বলে ১১৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের কিনারে পৌঁছে দিয়ে যান। টেইলরের (২১) সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়ে ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন দলনায়ক উইলিয়ামসন। দলের জয় যখন নিশ্চিত তখনও বল বাকি ছিল ৮৩টি! স্বাগতিকদের দুটি উইকেটই শিকার করেন মুস্তাফিজ।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভার থেকে ২ বল বাকি থাকতে ২২৬ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগাররা। দলের হয়ে মোহাম্মদ মিঠুন সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন। এছাড়া সাব্বির ৪৩ রান করেন। মিঠুন-সাব্বিরের ৭৫ রানের জুটিতে ভর করে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েছিল দল। কিন্তু মিরাজ (১৬), সাইফউদ্দিন (১০) ও রিয়াদরা (৭) দায়িত্বের পরিচয় দিতে না পারায় ২২৬ রানেই শেষ হয় ইনিংস।
এর আগে সৌম্য (২২) ও মুশফিকের (২৪) ব্যাটে শুরুর পতন ঠেকিয়েছিল। কিউইদের হয়ে বল হাতে নেয়া ছয়জনই উইকেটের দেখা পেয়েছেন। ফার্গুসন ৩টি, অ্যাস্টল ও নিশাম ২টি করে উইকেট নেন। সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে আগামী বুধবার ডানেডিনে মুখোমুখি হবে দু’দল।
আপনার মতামত লিখুন :