মোহাম্মদ মাসুদ : মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি স্পিডবোট ঘাট। বোটগুলোতে যাত্রী ওঠানো নিয়ে প্রতিনিয়ত চালক ও যাত্রীদের সাথে হাতাহাতি লেগেই থাকছে। কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে প্রতিদিন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার ৩০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। অথচ, যাত্রীদের নিরাপত্তায় নেই কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা। প্রতিটি স্পিডবোটে লাইভ জ্যাকেট ব্যবহারের কথা থাকলেও মানছে না অনেকেই। আবার ১৬জন ধারণ ক্ষমতার স্পিডবোটগুলোতে ২৪ জন যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা নদী পাড়ি দেন যাত্রীরা। সন্ধ্যার পর স্পিডবোট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছে না কেউ। অদক্ষ চালক ও যাত্রীদের অসচেতনতায় একের পর এক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সময় টিভি
এক যাত্রী বলেন, 'আমরা জানি, এটা ঝুঁকিপ‚র্ণ। আমাদেরকে বাধ্য হয়ে উঠতে হচ্ছে।' পুলিশ বলছে, স্পিডবোট দুর্ঘটনা কমাতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।
মাদারীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার আবির মাহমুদ বলেন, 'প্রত্যেক যাত্রীর জন্য লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রত্যেকটা স্পিডবোটে কতজন যাত্রী যাবে তার নির্দিষ্ট সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে, সর্বোপরি একটা শৃঙ্খলার মধ্যে স্পিডবোট পরিচালনা করা হচ্ছে।'
স্থানীয় জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলামের বলেছেন, অদক্ষ চালকদের প্রশিক্ষণের জন্য সচেতন করা হচ্ছে এবং নিয়মের বাইরে যারা স্পিডবোট চালায় তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে ।
বিগত ৪ বছরে এই নৌ-রুটে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় মারা গেছে অন্তত ৩৫ জন। এরমধ্যে গত ১১ নভেম্বর স্পিডবোট দুর্ঘটনায় শিশুসহ প্রাণ হারায় ৩ জন। এসব ঘটনায় মামলা হলেও মূল অভিযুক্তরা থেকে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
আপনার মতামত লিখুন :