মঈন মোশাররফ : গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কবি আল মাহমুদ গণকন্ঠের সম্পাদক থাকলেও তার দলীয় কোন পরিচয় ছিলোনা। রাজনৈতিক দল জাসদের প্রতি সহানুভূতি থাকলেও তিনি কখনো সরাসরি রাজনীতিতে জড়াননি। আমি গণকন্ঠে তার সহকর্মী ছিলাম । তাকে অনেক কাছথেকে দেখেছি।
শনিবার বিবিসি বাংলাকে তিনি আরো বলেন, ১৯৭৪ সালের ১৭ই মার্চ তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ির সামনে জাসদের উদ্যোগে ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়। সেদিন রাতেই তৎকালীন গণকন্ঠের সম্পাদক আল মাহমুদকে গ্রেফতার করা হয়। জাসদ গণকন্ঠের মালিক ছিলো বলে আল তিনি নির্যাতিত হলেন। এবং তিনি অনেকদিন বিনা বিচারে কারাগারে ছিলেন।
তিনি বলেন, জেল থেকে মুক্তি পাবার পর অন্যরকম এক আল মাহমুদের দেখা মিললো। তখন আল মাহমুদের মধ্যে ইসলামী ধ্যান-ধারণা প্রবল হয়ে উঠে। আল মাহমুদ সবসময় দাবি করতেন তিনি একজন কবি। তিনি কখনোই বলেননি যে তিনি একজন সম্পাদক।
তিনি জানান, আল মাহমুদ সব সময় চাইতেন তাকে তার কবিতা দিয়েই মূল্যায়ন করা হোক। একবার মাহমুদ ভাই একটা কথা বলেছিলেন , যেটা এখনো আমার কানে ভাসে। সেটা হলো যে - আর কেউ কি আরেকটি সোনালী কাবিন লিখতে পেরেছে? আল মাহমুদের কবিতা বহু সাহিত্যানুরাগীর মনে আলোড়ন তুলেছিলো।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৫০ সালের পর বাংলা সাহিত্যে যত কবির আবির্ভাব হয়েছে, শিল্পমান এবং লেখার বিচারে বিশ্লেষকরা আল মাহমুদকে সন্দেহাতিতভাবে প্রথম সারিতেই রাখছেন।
আপনার মতামত লিখুন :