কাজী মহুয়া
ভোর ছয়টায় হোস্টেল থেকে বের হয়ে রিকশা,নয়টা পর্যন্ত ম্যাথ আর ফিজিক্স। সাড়ে নয়টায় হোস্টেল, নাস্তার সময় আর রুচি দুটারই অভাব, কলেজ ড্রেস আর বইপত্র নিয়ে দশটায় ক্লাস শুরু। আড়াইটায় ব্রেক। কোনো রকমে হোস্টেলের অখাদ্য ডাল-ভাত মুখে দিয়ে চারটা থেকে প্র্যাক্টিকাল ক্লাস। সন্ধ্যা নামতে থাকলে আবার যখন হোস্টেলে ফিরি তখন রাজ্যের ক্লান্তি চোখজুড়ে। এর মাঝে উঠতি বয়স আর উচ্চতা, কোনোটাই মফস্বল শহরের দৃষ্টি এড়ায় না। সেগুলো একা একা এড়িয়ে চলার যুদ্ধ। এভাবেই চলতে থাকে। এইচএসসির ফলাফল খারাপের পর বাবা বলে দেয়, টাকা দিয়ে পড়াতে পারবো না। এই রেজাল্টে যেখানে পারো ভর্তি হও। তারপর শুরু ভর্তির যুদ্ধ, একটা ভালো সুযোগের যুদ্ধ। হাত খরচের জন্য একটা চাকরির যুদ্ধ। এতো কিছুর মাঝে পড়াশোনাটাই করতে ভুলে যাই।
অনেকের জীবনের গল্প হয়তো এটাই। আমার ছেলের দিকে তাকিয়ে খুঁজতে চেষ্টা করছিলাম, ওর জীবনের যুদ্ধ হবে কোনগুলো? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :