মহসীন কবির : বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা জোবায়ের অনুসারীদের আখেরী মোনাজাত শেষ হয়েছে । আখেরি মোনাজাতে আল্লাহ কাছে ক্ষমা প্রার্থনা, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি, হেদায়েত, হেফাজত, রহমত, মাগফিরাত, নাজাত, দেশ ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি কল্যাণ কামনা করা হয়। শনিবার সকাল পৌঁনে ১১টায় মোনাজাত শুরু হয়ে ১১টা ৭ মিনিটে শেষ হয়।মোনাজাত পরিচালনা করেন ঢাকার কাকরাইল মসজিদের ইমাম মাওলানা হাফেজ মো. জোবায়ের।
আখেরি মোনাজাতের সময় আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে তুরাগের দুই পাড়। মোনাজাতে অংশ নেন সকল বয়সের নারী-পুরুষ। এ সময় দুই হাত তুলে অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এর আগে পাকিস্তানি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ খোরশেদ উর্দূতে হেদায়েতি বয়ান পরিচালনা করেন। মুসল্লিদের সুবিধার্থে তা বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল মতিন। শুক্রবার টঙ্গীতে টানা চারদিনব্যাপী তবলীগ জামাতের ৫৪তম বিশ্ব এজতেমা শুরু হয়। শীত আর নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে তবলীগ জামাতের এবারের বিশ্ব এজতেমার প্রথম পর্বে লাখ লাখ মুসল্লি অংশ নিয়েছেন।
মোনাজাত উপলক্ষে শীত উপেক্ষা করে তুরাগ তীরে লাখো মানুষের ঢল নেমেছ। মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোর থেকেই সবাই দলে দলে পায়ে হেঁটে ইজতেমাস্থলে আসছেন। পাঞ্জাবি-টুপি পরে দলে দলে আগত এসব মুসুল্লির কারও কারও হাতে ছিল জায়নামাজ, তসবিহ। আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে শনিবার মধ্যরাত থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মীরের বাজার থেকে টঙ্গী পর্যন্ত মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মোনাজাত প্রচারের জন্য গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ও গাজীপুর জেলা তথ্য অফিস বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। ইজতেমার ময়দানের বাইরে অবস্থানকারী মুসল্লি ও পথচারীদের মোনাজাতে শরিক হতে ইজতেমা ময়দানের বাইরে ও আশপাশের এলাকায় শতাধিক মাইকের সংযোগ দেয়া হয়েছে। মোনাজাতে অংশ গ্রহণের সুবিধার্থে ৩২টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
দ্বিতীয় ধাপের মাওলানা জোবায়ের পন্থিদের আখেরি মোনাজাতের পর মাওলানা ওয়াসেকুল ইসলামের অনুসারীরা ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করবেন।
আপনার মতামত লিখুন :