শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:১৭ সকাল
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:১৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চলতি অর্থবছরে জিডিপির হার হবে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ: কেন্দ্রীয় ব্যাংক

আবু বকর : দেশে সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ বজায় থাকলে এবং কোনো ধরনের বৈশ্বিক বাণিজ্যিক সংঘাত তৈরি না হলে চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপির হার হবে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০১৭-১৮ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এই তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশও হতে পারে। এ কারণে বহুমুখী আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য এবং মুল্যস্ফীতি নির্ধারিত সীমার মধ্যে রাখতে একটি ‘সতর্ক’ আর্থিক নীতি অনুসরণ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রতিবেদনে উৎপাদনমুখী, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং কৃষি ঋণ বিতরণের মাধ্যমে মানসম্মত কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথাও বলা হয়েছে। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব ধরনের সহায়তা চালিয়ে যাবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ ও বহির্মুখী নানা রকম বাধা সত্বেও বাংলাদেশ সামগ্রিক বহুমুখী অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা দেখা যাচ্ছে।

তবে, ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতায় ধারাবাহিক সংস্কারের প্রয়োজন হবে।

দেশে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ এবং নতুন নতুন বাজার তৈরির বিষয়ে সহায়তা করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, কৃষি, সবুজ অর্থায়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদী গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ) থেকে সহায়তা চালু রেখেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, এসব প্রকল্পে অর্থায়ন টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করবে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির আরো প্রবৃদ্ধি হবে। অভ্যন্তরীণ ও বিশ্ব চাহিদার কারণে সরকারি বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং উচ্চ রপ্তানি, রেমিটেন্স ও বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়বে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের তরুণ শ্রমশক্তির জন্য আরো উন্নতমানের কাজের পরিবেশ তৈরি করার জন্য উল্লেখিত খাতের প্রবৃদ্ধি থেকে সহায়তা প্রয়োজন।

তবে নীতি সহায়তার পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ঋণ বিতরণের পর ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

উচ্চ প্রবৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীল খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক বিনিয়োগের জন্য এবং উৎপাদনশীল খাতে সরকারি বিনিয়োগও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

মূলত দেশি-বিদেশি অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা এবং সম্ভাব্য ঝুঁকির আলোকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে জিডিপির হার ৭ দশমিক ৮ শতাংশ এবং মুল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নির্ধারণ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়