শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৫:৪৯ সকাল
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৫:৪৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজ্জাকের সঙ্গে ‘মহব্বতের সম্পর্ক’ প্রত্যাশা ‘ব্যথিত’ জামায়াতের

সমকাল :  দল থেকে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক পদত্যাগ করায় জামায়াতে ইসলামী 'ব্যথিত ও মর্মাহত'। তবে ব্যারিস্টার রাজ্জাকের সঙ্গে 'মহব্বতের সম্পর্ক' অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছে দলটি।

ব্যারিস্টার রাজ্জাকের পদত্যাগপত্র পাওয়ার পর জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে একথা জানান।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকসহ আমরা দীর্ঘদিন একই সাথে এই সংগঠনে কাজ করেছি। তিনি জামায়াতে ইসলামীর একজন সিনিয়র পর্যায়ের দায়িত্বশীল ছিলেন। তার অতীতের সকল অবদান আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি।'

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, 'তার পদত্যাগে আমরা ব্যথিত ও মর্মাহত। পদত্যাগ করা যে কোন সদস্যের স্বীকৃত অধিকার। আমরা দোয়া করি তিনি যেখানেই থাকুন, ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।'

তিনি বলেন, 'আমরা আশা করি তার সাথে আমাদের মহব্বতের সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।'

জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক শুক্রবার সকালে যুক্তরাজ্য থেকে দলটির আমির মকবুল আহমাদের কাছে পদত্যাগ পাঠান।

চার পৃষ্ঠার চিঠিতে আবদুর রাজ্জাক বলেন, একাত্তরের ভূমিকার জন্য জামায়াতকে ক্ষমা চাইতে হবে। ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান মেনে ইসলামী মূল্যবোধে গণতান্ত্রিক দল গড়ে তোলা সময়ের দাবি। এতে নারীদের কার্যকর অংশগ্রহণও চান তিনি।

জামায়াত আমিরকে লেখা চিঠিতে আবদুর রাজ্জাক বলেন, তিনি এখনও বিশ্বাস করেন মুক্তিযুদ্ধে নেতিবাচক ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়া শুধু জামায়াতের নৈতিক দায়িত্ব নয় বরং পরবর্তী প্রজন্মকে দায়মুক্ত করতে অত্যন্ত জরুরি। তিনি বিশ্বাস করেন, ইসলাম ও স্বাধীনতা সংগ্রাম বাংলাদেশের সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতি ও সংস্কৃতির ভিত্তি। একাত্তরে বাঙালির ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে পাকিস্তানের গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করে জামায়াত ভুল করেছে। এ ভুলের জন্য জামায়াত নেতারা আজও ক্ষমা চাইতে পারেনি। ক্ষমা চাওয়া জরুরি বলে মনে করেন আবদুর রাজ্জাক। তিনি পদত্যাগের চিঠিতে লেখেন, যেকোনো দল সিদ্ধান্তগ্রহণে ক্রুটি-বিচ্যুতির শিকার হতে পারে। কিন্তু তাকে অস্বীকার করা ও ফল মূল্যায়নে অনড় অবস্থান রাখা শুধু অগ্রণযোগ্য নয় আত্মঘাতী রাজনীতি।

আবদুর রাজ্জাক চিঠিতে লেখেন, তিনি দুই দশক তিনি অব্যাহত চেষ্টা করেছেন জামায়াত যেন একাত্তরের ভূমিকার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চায়। কিন্তু দল তার পরামর্শ গ্রহণ না করায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।

আবদুর রাজ্জাক লেখেন, ২০০১ সালে চারদলীয় জোটের জয়ের পর জামায়াতের মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মো. মুজাহিদ মন্ত্রী হন। তাদের প্রতি তার পরামর্শ ছিল ২০০১ সালে বিজয় দিবসের আগেই একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চেয়ে বক্তব্য দিতে হবে। একটি কমিটি গঠন করে ক্ষমা চেয়ে বক্তব্যের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছিল, কিন্তু তা আলোর মুখ দেখেনি।

আবদুর রাজ্জাক চিঠিতে দাবি করেছেন, তিনি ধারাবাহিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। জামায়াতকে বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। ২০১৬ সালে ক্ষমা চাওয়া ও বিশ্ব পরিস্থিতির আলোকে নতুন আঙ্গিকে রাজনীতি শুরুর পরামর্শ দিয়েছিলেন। সবশেষ একাদশ নির্বাচনের পর জামায়াতের ভবিষ্যত করণীয় সম্পর্কে তার মতামত ছিল – দল বিলুপ্ত করে দেওয়া উচিত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়