সৌরভ নূর : সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকা-ের ঘটনা প্রসঙ্গে মে. জে. (অব.) আব্দুর রশিদ বলেছেন, অগ্নিকা- নেহাত একটি দুর্ঘটনা। কিন্তু এ ধরনের দুর্ঘটনা এখন নিয়মিত ঘটনাতে পরিণত হয়েছে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অগ্নিনির্বাপণের যথেষ্ট সরঞ্জামাদি থাকে না বিধায় জান-মালের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। দেশের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই এ ধরনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণের আগাম প্রস্তুতি মূলক ব্যবস্থা করা নেই। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকা-ের ঘটনা তারই পুনরাবৃত্তি বলে আমার মনে হয়।
এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, আগুন লাগার সাথে সাথে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি ফলে আগুন ভয়াভয় রূপ নিয়েছে। এর জন্য ব্যবস্থাপনাকারীদের দায়ী করা যেতে পারে। একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা সেক্টরের দায়িত্ব সব ধরনের দুর্ঘটনা থেকে ওই প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করা এবং সুশৃঙ্খলার মধ্যে রাখা। অথচ এতোবড় একটি হাসপাতালে সে ধরনের কোনো ব্যবস্থা রাখেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যার ফলে আগুন সৃষ্টির শুরুতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। হাসপাতালজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক, অনেক রোগীকে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই স্থানান্তরিত করতে হয়েছে। অবশ্যই এ সমস্ত দায়ভার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে।
অন্যদিকে এ ঘটনার তদন্তের জন্য ১৫ দিন সময় দেয়া হয়েছে, এটা অনেকটা লোক দেখানো তৎপরতা। এক্ষেত্রে তদন্তের জন্য আরো স্বল্প সময় নেয়া উচিত। কেননা যতো তাড়াতাড়ি কারণ খুঁজে পাওয়া যাবে ততো দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে। এছাড়া শুধু হাসপাতাল বলে নয়, সব জায়গাতেই আধুনিক অগ্নি নির্বাপণের যন্ত্রপাতি প্রস্তুত রাখা জরুরি। তবেই জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
আপনার মতামত লিখুন :