সৌরভ নূর : প্রায়ই আমরা হাউজিং কোম্পানির নামে বড় বড় বিজ্ঞাপন দেখে থাকি। এ ধরনের কোম্পানিগুলো সাধারণত জমি কেনা-বেচা করে থাকে। কিন্তু জমি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে এরা ক্রেতাদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে জমি বিক্রি করছে। এসব চক্র কখনো এক জায়গায় জমি দেখিয়ে আরেক জায়গায় দিয়ে থাকে, আবার একজনের জমি অন্যজনের নামে দেখিয়ে ক্রেতাদের প্রতারিত করে চলেছে। এর ফলে কিছু মানুষ বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আবার অনেকেই সম্বলহীন হয়ে পড়ছে। সাবেক আইজিপি নুরুল আনোয়ার হাউজিং কোম্পানির প্রতারণা প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন। এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, এই চক্রটি জমির আসল মালিকের কাছ থেকে দুই-তিন বছরের জন্য জমি লিজ নিয়ে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখে। সেগুলোই ক্রেতাদের দেখিয়ে অ্যাডভান্স কিছু বুকিং মানি নেয়। পরবর্তী সময়ে সেই সাইনবোর্ড আবার নিজেরাই খুলে ফেলে লাপাত্তা হয়ে যায়। এক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ই প্রতারক চক্রকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আর পাওয়া গেলেও টাকা দিতে নয়ছয় করে কিংবা অল্প কিছু টাকা ফেরত পাওয়া যায়। আর যেহেতু এরা সংগঠিত হয়ে প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করে। সেহেতু এদের বিরুদ্ধে তেমন কেনো ব্যবস্থা নেয়াও সম্ভব হয় না। এই চক্রের সাথে অনেক সময় জমির মূল মালিক ও প্রশাসনের জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়। না হলে জমি বেচাকেনা সংক্রান্ত তথ্য জেলা প্রশাসনের নজর এড়িয়ে যায় কীভাবে ? এই প্রতারণা বন্ধ না করা গেলে এভাবেই একজন মানুষের সারাজীবনের গচ্ছিত অর্থ-সম্পদ প্রতারক চক্রের হতে তুলে দিয়ে সর্বস্বান্ত হতে হবে। এক্ষেত্রে প্রসাশনকেও সতর্ক থাকতে হবে, ক্রেতাদের সচেতন হতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :