সমীরণ রায় : সম্প্রতি শেষ হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয় লাভ করে। এতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৮ প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ঐক্যফ্যন্টের নির্বাচিতরা শপথ না নিয়ে নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ এবং নির্বাচিত প্রার্থীর বিজয় চ্যালেঞ্জ করে গত ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের নির্বাচনী ট্রাাইব্যুনালে মামলা করেছেন বিএনপির প্রার্থীরা। এতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ অস্বস্তিতে পড়েছে।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা মনে করেন, একাদশ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির দায়ের করা মামলা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন। বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই অংশগ্রহণ করেছিলো। তারা সবসময় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছে। তারা হাইকোর্টের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
বিএনপির হাইকোর্টের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করার বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে জার্মানিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি এবং তাদের মিত্র ঐক্যফ্রন্ট ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য মামলা করেছে। তারা অংশগ্রহণই করেছিলো নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। আইন অনুযায়ী তারা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে পারে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, যে কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি মামলা করতে পারেন, তার ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারেন। নির্বাচনে পরাজিতরা ট্রাইব্যুনালের সম্মুখীন হন, ট্রাইব্যুনালে তাদের অভিযোগ পেশ করেন, এটা নতুন কিছু নয়। তাদের এ অধিকার আছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির দায়ের করা মামলা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয়েছে। জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়ী করেছে। বিএনপিকে এ সত্য মেনে নিতেই হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপির জয়ী প্রার্থীরা সংসদে আসুক, আমরা সেটি চাই। যারা রাজনীতিতে হতাশ, তারাই মামলা করে। রাজনীতিতে মামলা বলে কিছু নেই। তারা নির্বাচন ও আন্দোলনে হেরে গেছেন। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান
আপনার মতামত লিখুন :