শিমুল মাহমুদ: অলিখিত বাকশালের মধ্য দিয়ে সরকার গণতন্ত্রের ভান ধরেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ারসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে’ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। মঈন খান বলেন, একটি স্বৈরাচারী সরকারের থেকেও গণতন্ত্রেরভান ধারী সরকার অনেক বেশি ক্ষতিকর। সরকার মুখে মুখে গণতন্ত্রের কথা বলছে। মুখে তাদের গণতন্ত্রের লেবাস আর আচরণে স্বৈরাচারীতা। তাই এ বিষয়ে এদেশের মানুষকে সর্তক হতে হবে। এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।
প্রধান অতিথি ড. মঈন খান বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্রকে নির্বাসনে দিয়ে তাদের অলিখিত বাকশাল চিরস্থায়ী করতে চায়। আগামী দিনে আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে বাংলাদেশের মানুষের কাছে বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দেবো।
স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, স্বাধীনতা আর গণতন্ত্র এক কথা নয়। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যার জন্ম হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য। ১৯৭১ সালে লক্ষ মানুষ স্বাধীনতার জন্য জীবন বিসর্জন দিয়েছিলো। আজকে স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর এদেশের কোটি কোটি মানুষে প্রশ্ন কেনো আমরা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলাম। তাহলে পাকিস্থানের সাথে আমাদের পার্থক্য কি রইলো ? আজকে যারা বাংলাদেশ পরিচালনা করছে। যারা নিজেদেরকে চেতনার দাবিদার বলে, তারা কিভাবে এর দাবিদার হয়।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। আমি মনে করি সরকার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় তা কোন কিছুই সম্ভব হবে না। তাই আমি মনে করি মহিলা দলের অনেক বেশি দায়িত্ব রয়েছে। তাদের জন্য এই মানববন্ধন পর্যাপ্ত নয়। প্রতিদিন ১ হাজার মহিলা নিয়ে রাস্তায় আসেন রাস্তায় থাকেন দেখবেন খালেদা জিয়া এক মাসের মধ্যে মুক্ত হয়ে আসবেন।
আবারো একটি স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেন, বিশ্ববাসী দেখেছেন রাজনীতিক সহিংসতার মধ্য দিয়ে কিভাবে কৌশলের নির্বাচন করেছে সরকার। আমরা বলতে চাই, আমাদের কথা বলার সুযোগ দেন। আমাদের গণমানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন।
মানববন্ধনের সভাপতিত্ব করেন আফরোজা আব্বাস।পরিচালনা করেন- সুলতানা আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক, মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটি,বক্তব্য রাখেন নুরেআরা সাফা, নুরজাহান ইয়াসমিন, হেলেন জেরিন খান, জিবা খান, পেয়ারা মোস্তফা, শামসুন্নাহার ভূইয়া,আমিনা খাতুনসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণের সকল থানা ও ওয়ার্ডের নেত্রী - কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :