শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৬:৪৫ সকাল
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৬:৪৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাতক্ষীরায় ‘গরীবে নেওয়াজ’ হোটেল, টাকা থাকলেও খাবেন, না থাকলেও খাবেন

হ্যাপি আক্তার : সদরের বাঁকাল এলাকায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। চিকিৎসা-সংক্রান্ত কাজে প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়াত সেখানে। হাসপাতালের সামনে ছোট হোটেল ‘গরিবে নেওয়াজ’। বাস্তবিক অর্থে অভাব ও বিপদে থাকা মানুষদের বিনামূল্যে খেতে দেন এই হোটেলের মালিক আব্দুর রশিদ সরদার। চেষ্টা করেন সাধ্যের সবটুকু দিয়ে বিপদে পড়া মানুষটির আপ্যায়ন করার। কেউ যদি বলেন টাকা নাই তাহলে তাকে বিনামূল্যে খাওয়ান রশিদ। সূত্র: ফেসবুক।

হোটেলের সামনে ‘গরীবের নেওয়াজ’ নামে ছোট সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে, ‘তেল মাথায় দেন, গামছা নেন, গোসল করেন, ভাত খান, পয়সা থাকলেও খাবেন, না থাকলেও খাবেন।’

সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের চরবালিথা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ সরদার। স্ত্রী ফজিলা খাতুন ও ছেলে সাগরকে নিয়ে বর্তমানে বসতি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ছোট হোটেলের মধ্যেই।

হোটেলের নামকরণ ও পয়সা থাকলেও খাবেন, না থাকলেও খাবেন এমন সাইনবোর্ডে এমন লেখার বিষয়ে হোটেল মালিক আব্দুর রশিদ সরদার বলেন, কে কখন কোথায় বিপদে পড়েন সে কথা কারো জানা নেই। বিপদগ্রস্ত মানুষ যদি আমাকে এসে তার বিপদের কথা জানায় তবে তাকে আমি দেখব। আমার সামর্থ্য অনুযায়ী আমি তাকে খাওয়াব। এমন কেউ থাকলে আমি তাকে বলি, পয়সা দেয়া লাগবে না, বিনামূল্যে খেয়ে যান।

তিনি বলেন, অনেকেই আসেন রোগীর সঙ্গে, গরিব মানুষ। অনেক সময় তাদের ফ্রি খেতে দিতে হয়। অসহায় মানুষ কি করব? যেটুকু পারি দেই। আমার মৃত্যুর আগে যদি একটু দোয়া দেয়, তাই গরিবের জন্য এসব করি। মেডিকেল কলেজের অনেক ছাত্ররা আমার এখান থেকে খেয়ে যায়। অনেক সময় অনেকে টাকা দিতে পারে না। পরে তারা দিয়ে দেয়। মেডিকেল কলেজ এলাকার প্রথম দোকানদার আমি, ৬ বছর আগে দোকান দিয়েছি। তখন ভ্যানের ওপর ছোট দোকান ছিলো, খাবার বিক্রি করতাম। হোটেলটা করেছি ৩ বছর আগে। স্ত্রী ও ছেলেটা আমার হোটেলের সহযোগী।

তিনি আরো বলেন, কিছুদিন আগে শ্যামনগর উপজেলা থেকে একজন রোগী ভর্তি হয়েছিলো। তারা খুব গরিব মানুষ। আমাকে জানানোর পর তাকে দেখেছি। তার সঙ্গে থাকা স্বজনকে খেতে দিয়েছি। তবে সে আর সুস্থ হয়নি, মারা গাছেন। তার মৃত্যুতে খুব দুঃখ পেয়েছি।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র মেকানিক মিজানুর রহমান বলেন, চাচা দূর থেকে আসা মানুষদের অনেক উপকার করেন। সাধারণত কেউ হোটেলে ফ্রিতে খেতে আসে না। তবে তার কাছে এসে বিপদের কথা জানালে তিনি তাকে বিনামূল্যে খাওয়ান। সম্পাদনা : জামাল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়