হ্যাপি আক্তার : নদী দখলে বুড়িগঙ্গা তীরে অভিযানে মিলেছে অনেক অবৈধ স্থাপনা। যা গুড়িয়ে দেয় বিআইডব্লিউটিএ। নদীর পিলার সরিয়ে নদীর পেটেই তৈরি হয়েছে এসব অবৈধ বহুতল ভবন। আর এইসব ভরনের বিপরিতে ঋণ দিয়েছে সোনালী ব্যাংক। পশ্চিম হাজারীবাগের ঝাউচর এলাকায় উচ্ছেদ করা হয় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানিয়েছেন, শুধু বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা নয় পর্যায়ক্রমে সব নদীই দখলমুক্ত করা হবে। চ্যানেল ২৪।
অবৈধ জমিতে সোনালী ব্যাংকের বন্ধকী ঋণে গড়ে উঠেছে চারতলা ভবন। ভবনের অবয়ব বলছে খুব বেশি দিন হয়নি তা গড়ে তোলা হয়েছে। ভবনটি দৃশ্যত নদীর সীমানা পিলারের বাইরে অর্থাৎ বৈধ জায়গায়। কিন্তু বাস্তব হলো গোপনে সীমানা খুঁটি সরিয়ে পচ্ছন্দ মতো জায়গায় পুঁতেছেন স্থানীয়রা।
সে হিসেবে বুড়িগঙ্গা তীরের পশ্চিম হাজারীবাগ ঝাউচরের জনপদে যতো স্থাপনা উঁচু দালান তার বেশিরভাগ অবৈধ। এসব উচ্ছেদে বিআইডব্লিউটিএ’র সাথে এবার যোগ দিয়েছে রাজউকের কর্মকর্তারাও।
তারা বলছেন, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বিআইডব্লিউটিএ নিয়মিত মামলায় ক্ষতিপূরণ আদায় এবং অন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থার জন্য তারা যেতে পারেন।
নদীর জায়গা নদীকে বুঝিয়ে দেয়ার এই আয়োজন দেখতে শতশত মানুষের ভিড় বুড়িগঙ্গা তীরে। অভিযান নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত তাদের।
স্থানীয়রা বলছেন, কাগজপত্র সবকিছুই আছে, মালিকানা সম্পত্তি। কিন্তু তাদের কাছে তো কিছু বলা যায় না। অন্য আরেকজন বলছেন, নদী রক্ষায় যে সীমানা পিলার দেয়েছে, তা নিজেদের মতো করে সরিয়ে অন্যত্র সরিয়েছে। তাই স্থাপনাগুলো ভাঙা পড়ছে।
কামরাঙ্গীরচরের পর বুড়িগঙ্গার এই অংশে দখলকরা জায়গায় গড়া স্থাপনা সবচেয়ে বেশি। যার বিস্তৃতি বুড়িগঙ্গার পশ্চিম হাজারীবাগ থেকে মোহাম্মদপুর বসিলা ব্রিজ পর্যন্ত। যে তালিকায় রয়েছে বসত বাড়ি এবং শিল্প কারখানাসহ অনেক কিছুই।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম নদী রক্ষার বিষয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সব নদীই অবৈধ দখলমুক্ত করা হবে।
এর আগে নদী দখল-দূষণ বন্ধে সরকারের করা মাস্টার প্ল্যানের খসড়া নিয়ে সচিবালয়ে বৈঠক করেন তারা। সম্পাদনা : জামাল
আপনার মতামত লিখুন :