শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:৪৬ সকাল
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:৪৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে আইনি লড়াইয়ে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের যত যুক্তি

মানবজমীন রিপোর্ট : একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭৪ জন প্রার্থীর দেয়া ৫৬টি আবেদনে বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে। এসব যুক্তি হিসেবে তারা বিজয়ী প্রতিদ্বন্দ্বীর ফল বাতিল এবং সংশ্লিষ্ট সংসদীয় আসনের পুরো নির্বাচন বাতিল চেয়েছেন। আবেদনে নির্বাচনের আগের রাতে বেশির ভাগ কেন্দ্রে ব্যালটবাক্স ভরে রাখা, বিএনপির পোলিং এজেন্ট ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনে বাধা, ভোটারদের ভয় দেখানো, প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে নৌকায় সিল মারতে বাধ্য করাসহ নানা অভিযোগ ও যুক্তি তুলে ধরেন প্রার্থীরা।

মাগুরা-২ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী তার যুক্তি তুলে ধরে সাংবাদিকদের বলেন, ৩০শে ডিসেম্বর দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। এ নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক চরিত্র ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। আমরা এখন স্যাটেলাইট রাষ্ট্রের নাগরিক। আমরা জালিয়াতির এ নির্বাচন বাতিলের দাবি করছি।

ঝিনাইদহ ৪ আসনে বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ হচ্ছে যে, একটি কেন্দ্রে মোট ভোটার ২২৬২ জন। সেখানে ভোট পড়েছে ২২৫১টি। সেখানে ভোটার তালিকা থাকা ২৫ জন এরই মধ্যে মারা গেলেও রিটার্নিং অফিসারের হিসেবে দেখা গেছে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হননি ভোটার তালিকায় থাকা মাত্র ১১ ব্যক্তি। তাহলে ১৪ জন মৃত ব্যক্তি কি ভোট দিয়েছেন? কে কবে মারা গেছে সেটাও আবেদনে উপস্থাপন করা হয়েছে। মেহেরপুর-১ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী মাসুদ অরুণের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান তার যুক্তি তুলে ধরে বলেন, ওই আসনে ১০৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৩টি কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে যেতে দেয়া হয়নি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী নির্বাচনের ভোটগ্রহণ থেকে শুরুর করে ফল গণনা পর্যন্ত পোলিং এজেন্টদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। পোলিং এজেন্টদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার দায়িত্ব প্রিজাইডং কর্মকর্তার। মেহেরপুর-১ আসনের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। তার ব্যর্থতায় ৫৩টি কেন্দ্রে ধানের শীষের প্রার্থীর কোনো পোলিং এজেন্ট যেতে পারেননি। অথচ এসব কেন্দ্রে এজেন্ট দিয়েছিলেন প্রার্থী। এতে নির্বাচনের ফল প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

এসব আবেদনের শুনানি হবে নির্বাচনী আবেদনের এখতিয়ার পাওয়া হাইকোর্টের ৬টি একক বেঞ্চে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়