শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৫:৪০ সকাল
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৫:৪০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আসরের পর বিশ্ব ইজতেমায় যে বয়ান হলো আজ

লুতফর রহমান রিফাত : আজ বৃহস্পতিবার আসরের পর বিশ্ব ইজতেমায় যে বয়ান হলো- ভাই ও মেরে দোস্ত বুজুর্গ ! হামদ ও সালাতের পর আল্লাহ তাআলার মেহেরবানী যে,তিনি আমাদেরকে এ ইজতেমায় একত্রিত হওয়ার তৌফিক দিয়েছেন। এখানে আমরা লক্ষ মানুষ একত্রিত হয়েছি, আমাদের সকলের উদ্দেশ্য একটাই, আল্লাহ তা'আলা কীভাবে আমাদের উপর রাজি হয়ে যান। আল্লাহ তা'আলা কে রাজি করার একমাত্র উপায় হল, আল্লাহ ও রাসুল সাল্লাহু সাল্লাম এর উপর নিজের জীবনকে পরিচালিত করা।আল্লাহ তা'আলা মানবজাতি ও জিন জাতিকে সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র তাঁর ইবাদত করার জন্য। তবে ইবাদতের যে সময় নির্ধারণ করেছেন তা খুবই অল্প। সুতরাং এই সময়ের মধ্যে মানুষকে কামিয়াবী অর্জন করতে হবে।

ভাই ও দোস্ত বুজুর্গ! যে ব্যক্তি আল্লাহ ও রাসূলের তরিকার বাহিরে ইজ্জত-সম্মান তালাশ করবে নিঃসন্দেহে সে ব্যর্থ হবে। একদা হযরত ওমর রা: শামে যাচ্ছিলেন, পথিমধ্যে তিনি এক কাফেলার অন্য লোকদেরকে ডেকে বললেন, শোনো! শোনো! আমরা ছিলাম দুনিয়ার নিকৃষ্টতম জাতি ।আল্লাহ তা'আলা এর মধ্য দিয়ে আমাদেরকে সম্মানিত করেছেন। পৃথিবীতে যত শক্তিশালী জাতিই হোক না কেন যদি তারা আল্লাহ ও রাসূলের তড়িকা মতো না চলে আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে ধ্বংস করে দিবেন ।আম্বিয়ায়ে কেরাম গন নিজেদের প্রয়োজনে মানুষের নিকট যেতেন এবং মানুষের রুহানি শক্তি কে জাগ্রত করার জন্য আল্লাহ তাআলার পথে আহবান করতেন।

আল্লাহ তাআলা মানুষকে বড়ই মহব্বত করেন তাই তিনি তাদের নিকট নবী-রাসূল প্রেরণ করেন। যেন মানুষ আল্লাহ তাআলার অগণিত ভান্ডার থেকে ফায়দা হাসিল করতে পারে ।হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম থেকে রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর যামানার মধ্যে ছয় শত বছরের দীর্ঘ ব্যবধান ছিল। এর ফলে মানুষের মধ্যে গোমরাহীর বাসা বেঁধেছিল ।আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে গোমরাহী থেকে বের করার জন্য হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে প্রেরণ করেন।তিনি এসে নিজে এরশাদ করেন ,হে লোকসকল! আমি তোমাদের জন্য দুনিয়ার সবচেয়ে ভালায়ী নিয়ে এসেছি, সুতরাং তোমরা আমাকে রাসুল হিসেবে মেনে নাও। যখন রাসূল আরবে এসেছিলেন তখন গোটা আরবে এমন এক অবস্থা বিরাজ করছিল, মূর্খতার কারণে তাদের উপর কেউ রাজত্ব করতে চাইত না, সেই জাতিকে আল্লাহ তাআলা এমন অবস্থা থেকে বের করার জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লামকে প্রেরণ করেন। মাত্র ২৩ বছরের এমন এক জাতি তৈরি করেছেন, যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর মৃত্যুর পর প্রায় ৩০০ বছর সে জাতি পৃথিবীতে রাজত্ব করে। এরপর ১২’শ বছর পর এই দাওয়াত আমাদের নিকট পৌঁছে। দুর্ভাগ্য বশত: এরপর এ মেহনত শেষ হয়ে গিয়ে ছিল। আল্লাহ তাআলা আমাদের উপর মেহেরবানী করে আবার এই মেহনত ফিরিয়ে দিয়েছেন। সুতরাং আমাদের ইয়াকিন কে ঠিক করতে হবে। আলেমদের সাথে পরামর্শ করে এই মেহনতকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে । দিলের মধ্যে দরদ নিয়ে মানুষকে আল্লাহতালা দিকে আহবান করতে হবে।আল্লাহ তা'আলা আমাদের সকলকে কবুল করুন।আমিন।

নোট: ।মূল: খোরশেদ আলম (পাকিস্তান) ভাষান্তর: মাওলানা জাকির হোসাইন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়